কর্ম ও জীবন

দৈনিক আজাদী প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৩:৫১

.tdi_2_1fa.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_1fa.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});আল্লামা শাহ আহমদ শফী রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পাখিরার টিলা গ্রামে অভিজাত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বরখত আলী। মায়ের নাম মুছাম্মাৎ মেহেরুন্নেছা বেগম। শিশুকালে পিতামাতা তাকে কুরআনে কারিম শিক্ষার জন্য মৌলভী আযীযুর রহমানের নিকট প্রেরণ করেন। এর ফাঁকে নিয়মিত ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষা ও শিক্ষা লাভ করেন। অতঃপর সফরভাটা মাদরাসায় প্রাথমিক কিতাব পাঠে মনোনিবেশ করেন। প্রতিভাবান এ কিশোর জ্ঞান আহরণের অদম্য স্পৃহা নিয়ে ছুটে যান ঐতিহ্যবাহী আল জামিয়াতুল আরাবিয়া ইসলামী জিরিতে। জিরি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে ৫/৬ মাস অধ্যয়ন করেন। ১০ বছর বয়সে এশিয়া মহাদেশের ২য় বৃহত্তম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলূম মুঈনুল ইসলামে ভর্তি হন। ১০ বছর বয়সে তিনি পিতামাতা হারিয়েছেন। দারুল উলূম হাটহাজারীতে তিনি পরম আত্মত্যাগ ও খোদা প্রদত্ত মেধা, সদাচার, লেখাপড়ায় একাগ্রতা প্রভৃতি গুণাবলীর মাধ্যমে ১০ বছর অতিক্রান্ত করেন এবং অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে উর্দু, ফার্সি, আরবী ভাষা ও সাহিত্যসহ ইলমে নাহু, ইলমে সরফ, ইলমে ফিক্বহ, মানতিক ( যুক্তিবিদ্যা), ফালসাফা (দর্শনবিদ্যা), বালাগাত (অলঙ্কার বিদ্যা) প্রভৃতি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হন। পরে তিনি ইলমে হাদিস ও ইলমে তাফসীরের উচ্চতর শিক্ষা হাসিল করতে ১৯৫০ সালে এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠতম দ্বীনি প্রতিষ্ঠান দারুল উলূম দেওবন্দে গমন করেন। দেওবন্দে হযরত ফুনূনাতে আলিয়া, দাওরায়ে হাদিস, উচ্চতর তাফসীরশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। দেওবন্দ থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর দারুল উলূমে শিক্ষক পদে যোগদান করেন। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন জামিয়ার মহাপরিচালক হাফেয ক্বারী আল্লামা হামেদ ইন্তেকাল করলে জামিয়ার সর্বোচ্চ মজলিসের শূরার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জামিয়া পরিচালনার গুরুদায়িত্ব আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ওপর অর্পিত হয়। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর জামিয়ার ব্যাপক উন্নতি হয়। জীবদ্দশায় আল্লামা শাহ আহমদ শফী বাংলা ও উর্দু ভাষায় প্রায় ২৫টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। ১৯৯৫ সালে জামিয়া প্রতিষ্ঠার শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে শতবার্ষিকী দস্তারবন্দি সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়। ওই সম্মেলনে দেশ বিদেশের বহু প্রথিতযশা ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তী ২০০২ সালে তার তত্ত্বাবধানে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয় সপ্তবার্ষিকী দস্তারবন্দী মহাসম্মেলন। চলতি বছর এক উদ্ভূত পরিস্থিতির পর গত বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর রাতে) মাদরাসার সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী কমিটি ‘মজলিশে শূরা’র বৈঠকে মুহতামিম পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। ওই রাতে শূরা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসা জন্য পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি সন্ধ্যায় ইন্তেকাল করেন। ২০১০ সালে ১৯ জানুয়ারি ১৩ দফা দাবির ভিত্তিতে কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ সংগঠনের আমীরের দায়িত্ব পালন করেন। সংগঠনের মহাসচিব করা হয় মাদরাসার তৎকালীন সহকারী মহাপরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে। ২০১৩ সালের ৫ মে লং মার্চ করে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাকার শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।.tdi_3_b51.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_b51.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us