মধুপুর টাঙ্গাইল থেকে বিশিষ্ট আলোকচিত্রী টনি সাংমার একটা ছবি ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরের একটু আগেই এক বন্ধুর হাত ঘুরে চলে আসে। প্রথমে ভেবেছিলাম খেতে ফুলকপির চারা লাগিয়ে কলার পাতা দিয়ে ঢেকে রাখার ছবি। ভাবতে পারিনি বাসন্তী রেমার পুরো কলাবাগান নিমেষে কুচলে দিয়েছেন আমাদের রাজকর্মচারীরা।
৪০ শতাংশ জমিতে লাগানো ৫০০টি কলাগাছের সবই এখন শবদেহ। নিজের লাগানো কলাগাছের কাটা দেহের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন বাসন্তী রেমা। ধানখেতে আগুন লাগালে কৃষকের যেমন লাগে, কেটে ফেলা কলাবাগান দেখে বাসন্তী রেমা নামের এই মান্দি নারীরও তেমনই লাগার কথা। যাঁরা চাষ করেন, ফসল তাঁদের কাছে সন্তানের মতো।
বন বিভাগ দাবি করেছে, এসব জমি বন বিভাগের। আদতে এসব জমি ছিল ভাওয়াল রাজ এস্টেটের। ’৪৭-এর দেশভাগের পর বন বিভাগ পরিত্যক্ত ও জমিদারি উচ্ছেদের কারণে খাস হয়ে যাওয়া এসব জমি দেখাশোনার দায়িত্ব পায়। গাজীপুর ও টাঙ্গাইলের বন বিভাগের বন দখল করেছে বেশ কয়েকটি শিল্পগোষ্ঠী, কেউ কেউ সেখানে রিসোর্ট বানিয়েছে।
ভাওয়াল এস্টেটের জমি ঢাকার কোনো কোনো আবাসন কোম্পানির দখলেও আছে বলে জনশ্রুতি আছে। সেগুলো উদ্ধারের কোনো পাঁয়তারা কখনো দেখা যায় না। শুধু নির্যাতন চলে বিভাগ-পূর্বকাল থেকে বংশ পরম্পরায় স্বদখলীয় জমিতে করে কর্মে খাওয়া মানুষের ওপরে।