এবারের বন্যা বেশ দীর্ঘস্থায়ী হলো। বানের পানি অনেক দিন ধরে ছিল। তবে পানির উচ্চতা ২০১৯ সাল, এমনকি ২০১৮ সালকে ছাড়াতে পারেনি এবারের বন্যা। বাড়িতে-ভিটায় পানি কম ছিল, কিন্তু মাঠঘাট ছিল ভরা। এখনো অনেক অঞ্চলে পানি আটকে আছে। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে ভাঙন এবার ছিল সবচেয়ে আলোচিত। দিনের পর দিন টিভি চ্যানেলের পর্দায় জীবন্ত ভাঙনের ছবি দেখানো হয়েছে। খবরের কাগজের প্রথম পাতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বড় বড় দালান নদীতে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকার ছবি আমরা দেখেছি। এসব অবকাঠামো কোনোটি বিলীন হয়েছে উদ্বোধনের আগে, কোনোটি বছর না ঘুরতেই।
সব খবর এখনো নথিভুক্ত পাক্কা হিসাবের তালিকায় জমা হয়নি। তথ্য-তালাশ চলছে, ছক পাঠানো হয়েছে। কোভিড তো, তাই সময় লাগছে। কিন্তু যখন কোভিডের আসর ছিল না, তখন কি সব সময়মতো পৌঁছে যেত? সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী নতুন-পুরোনো মিলিয়ে ঢাকা বিভাগে নদীতে বিলীন হয়েছে ৯টি বিদ্যালয়। রাজশাহী অঞ্চলে নদীতে হারিয়ে গেছে ১৫টি বিদ্যালয়। রংপুরে গেছে ১৬টি।