‘কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই কয়েক দিনের ব্যবধানে আমার ২৭টি ছাগল মারা গেছে। আমি এখন পথের ফকির। অবশিষ্ট দুটি ছাগলও অসুস্থ।’ চোখ মুছতে মুছতে কথাগুলো বলছিলেন কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামের ৬০ বছর বয়সী বজলুর রহমান। তিনি বলেন, ‘পায়রা নদীর ভাঙনে জমিজমা সবই গেছে। বাঁধের পাড়ে সামান্য জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছি। আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা (ঋণ) করে কয়েকটি ছাগল কিনে তা লালন–পালন করে বাজারে বিক্রি করে যে লাভ হতো, তা দিয়ে স্ত্রী, দুই কন্যাসন্তান নিয়ে বেশ ভালোই কাটছিল।’