তবে পাঁচতারা হোটেলে খাওয়া মানে খাবারের চেয়ে আরও বেশি কিছু। বাতাবরণ বা অ্যামবিয়েন্স, পরিষেবা...। অনেক কিছু। হোম ডেলিভারিতে তেমন অভিজ্ঞতার সুযোগ নেই। তা সত্ত্বেও পাঁচতারাদের এক-এক জন চমকে দিচ্ছে এক-এক ভাবে।
কৈশোরে একটা ফ্যান্টাসির নাম যদি মাধুরী দীক্ষিত হয়, তা হলে অন্যটার নাম ছিল লবস্টার থার্মিডর। ফরাসি সেই ডিশে লবস্টারের শাঁস হবে ক্রিমে মাখো মাখো, রাঁধা হবে ডিমের কুসুম ও ব্র্যান্ডিতে এবং পরিবেশন করা হবে লবস্টারের ভাজা খোলে পুরে। ৩০-৩২ বছর আগে, সাবেক গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলের একাধিক শেফ ছিলেন ওই পদ রান্নায় সুপটু। কাজেই, লবস্টার থার্মিডরের স্বপ্নের সঙ্গে গ্রেট ইস্টার্নের মতো চারতারা হোটেলে গিয়ে খাওয়াটাও ছিল ফ্যান্টাসিরই অঙ্গ। পরবর্তী কালে একটা সময়ে কলকাতায় উৎকৃষ্টতম ভোজন-কল্পনাবিলাসের সেরা সাকিন হয়ে উঠেছিল ওবেরয় গ্র্যান্ডের বান থাই রেস্তোরাঁ।