ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসহ শহরের কিছু রাস্তা ভালো হলেও অধিকাংশ রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক। পৌর এলাকার বেশির ভাগ রাস্তার ফ্লাট সোলিংয়ের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হওয়ায় রাস্তার ইট উঠে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে। আবার রাস্তায় সামান্য বৃষ্টির পানিতে হাঁটু সমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগী পৌরবাসীর দাবি জনতার দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পৌর পিতা দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।পৌর এলাকার কিছু রাস্তা-ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় বেশির ভাগ নাগরিকই সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পৌর এলাকার অধিকাংশ ওয়ার্ডের রাস্তার ফ্লাট সোলিং অনেক আগেই উঠে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়ে গেছে। অধিকাংশ ফ্লাট সোলিং রাস্তার মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে যাওয়ায় রাস্তাগুলো তার প্রকৃত অস্তিত্ব হারিয়েছে। পৌর এলাকার অনেক রাস্তায় বর্ষায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।বিশেষ করে কোটচাঁদপুর রোডের বিহারী মোড়সহ পৌরসভার সামনের রাস্তা, কলেজ রোড, কলাহাটার মোড়, নলডাঙ্গা রোডের হাটচাঁদনীর সামনে, নিমতলা থেকে থানা রোড, ফয়রা গ্রামের মধ্য দিয়ে হাসপাতাল রোড, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে বলিদাপাড়ার মধ্য দিয়ে হাসপাতাল রোড, ভূষণ রোড থেকে নিশ্চিন্তপুরের মধ্য দিয়ে হাসপাতাল রোড, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে ভূষণ রোডের খালধার বাইপাস সড়ক, নলডাঙ্গা রোড থেকে কোলা রোডের লাটা স্ট্যান্ড পর্যন্ত বেশকিছু রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।খোদ ৭নং ওয়ার্ডে মোক্তার হোসেন কাউন্সিলরের বাড়ির সামনের বিহারী মোড় থেকে দরগা রাস্তাটিও চলাচলের অনুপযোগীই নয়, সেখানে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে যায়।তিনি বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থায় থাকলেও পৌরসভার আর্থিক সংকটের কারণে উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। তবে পৌর মেয়র সাহেব আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে পৌর এলাকার সব রাস্তার উন্নয়ন শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানেও রাস্তাঘাটের কোনো উন্নয়ন না হওয়ায় তাদের মধ্যে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ কাজ করছে। তাদের দাবি জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিলেও বিগত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো উন্নয়ন পৌর এলাকায় হয়নি। কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ বলেন, পৌর এলাকার উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধার জন্য আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর অনেক উন্নয়নমূল কাজ করেছি সেগুলো এখন দৃশ্যমান। খুব শিগগিরই রাস্তাঘাটের কাজ শুরু করা হবে। কোনো রাস্তা বাকি থাকবে না।