.tdi_2_e36.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_e36.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});বিকেন্দ্রিকরণ হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এর অংশ হিসেবে নগরের ৪১ ওয়ার্ডকে ছয়টি অঞ্চলে ভাগ করা হবে। প্রতিটি অঞ্চলের আওতায় আলাদা আলাদা প্রকৌশল, স্বাস্থ্য, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব ও প্রশাসন শাখা থাকবে। ছয়জন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্চলগুলোর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পৃথক অঞ্চল হলেও স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) অ্যাক্ট অনুযায়ী মেয়র বা প্রশাসকের যে ক্ষমতা তা খর্ব হবে না। বরং বিকেন্দ্রিকরণ হলে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কাজে গতি আসবে। একইসঙ্গে দুর্ভোগ কমবে সেবাপ্রার্থী সাধারণ মানুষের। তারা নিকটস্থ আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো থেকেই কাঙ্ক্ষিত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। জানা গেছে, জরুরি ভিত্তিতে অঞ্চলগুলোতে ছয়জন আঞ্চলিক কর্মকর্তা পদায়নের জন্য গত সোমবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১২ সালে ২০ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে চসিকের ওয়ার্ডগুলোকে অঞ্চলভিত্তিক ভাগ করেছিল। তবে গত প্রায় ৮ বছরেও তা কার্যকর হয়নি। সর্বশেষ গত ৫ অগাস্ট পুরাতন পরিষদ বিলুপ্ত এবং চসিকে প্রশাসক নিয়োগের পর নাগরিক সেবা নিশ্চিতে অঞ্চল গঠনের বিষয়টি সামনে আসে। এক্ষেত্রে কাউন্সিলর না থাকার বিষয়টিকেই আমলে নেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো দাপ্তরিক পত্রে বলা হয়েছে, ‘প্রশাসক নিয়োগের সাথে সাথেই পুরাতন পরিষদ বিলুপ্ত হয়েছে বিধায় বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনে কাউন্সিলর না থাকায় ওয়ারিশান সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রদানসহ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সচল রাখার লক্ষ্য আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ জরুরি’। চসিক সূত্রে জানা গেছে, আঞ্চলিক কার্যালয়ের অবকাঠামো স্থাপনে ২০১৩ সালের ১৭ এপ্রিল চসিকের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান প্রকৌশলীকে। তবে মন্ত্রণালয় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ না দেয়ায় তার অগ্রগতি হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল সিটি কর্পোরেশনে ১ হাজার ৪৬টি নতুন পদ সৃষ্টির অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়। সেখানে ছয় অঞ্চলের বিপরীতে ৪৭৩টি পদ সৃজন করা হয়। কিন্তু অনুমেদিত নিয়োগবিধি না থাকায় পদগুলো পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে দীর্ঘদিনেও আঞ্চলিক কার্যালয় বা এ সংক্রান্ত কার্যক্রম না থাকা প্রসঙ্গে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দো দৈনিক আজাদীকে বলেন, ২০১২ সালে গেজেট হলেও অর্গানোগ্রাম হয় ২০১৯ সালে। সর্বশেষ কিছুদিন আগে এ বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে লিখেছিলাম। এরপ্রেক্ষিতে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা পদায়নে চিঠি দেয়া হয়। আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো কোথায় হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওয়ার্ড অফিসে করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘অঞ্চল গঠন হলে নিশ্চয় ভালো হবে। কাজের সুবিধা হবে। মানুষকে আর প্রধান কার্যালয়ে আসতে হবে না।’ তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের যে নির্দেশনা তা আমরা অচিরেই বাস্তবায়ন করবো। অঞ্চল ভিত্তিক এলাকাগুলো : এক নম্বর অঞ্চলে রয়েছে চসিকের ১, ২, ৩, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড। অঞ্চলভুক্ত এলাকাগুলো হচ্ছে- দক্ষিণ পাহাড়তলী, জঙ্গল দক্ষিণ পাহাড়তলী, কুলগাঁও, জালালাবাদ, পাঁচলাইশ, পশ্চিম ষোলশহর, শোলকবহর, মুরাদপুর (অংশ), পূর্ব নাসিরাবাদ ও খুলশী। দুই নম্বর অঞ্চলে রয়েছে ৪, ৫, ৬, ১৭, ১৮, ১৯ ও ৩৫ নং ওয়ার্ড। অঞ্চলভুক্ত এলাকাগুলো হচ্ছে- চান্দগাঁও, চর রাঙামাটিয়া, মোহরা, চরমোহরা, পূর্ব ষোলশহর, বাকলিয়া, পাথরঘাটা (অংশ) ও আন্দরকিল্লা (অংশ)। তিন নম্বর অঞ্চলে রয়েছে ১৪, ১৫, ১৬, ২০, ২১, ২২, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ড। অঞ্চলভুক্ত এলাকাগুলো হচ্ছে- লালখানবাজার, দক্ষিণ পাহাড়তলী (অংশ), উত্তর পাহাড়তলী, খুলশী, জয়পাহাড়, আলম শাহ, কাঠগড়, ইমামগঞ্জ, চন্দনপুরা, নিজশহর, কাসিমবাজার, মুরাদপুর (অংশ), রুমঘাটা, আন্দরকিল্লা, রহমতগঞ্জ, দক্ষিণ পাহাড়তলী, এনায়েতবাজার, বটতলী, ফিরিঙ্গীবাজার, গুরিবাজার, মনোহরখালী, পাথরঘাটা (অংশ), সুজা কাঠগড়। চার নম্বর অঞ্চলে রয়েছে ২৩, ২৪, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩৬ নং ওয়ার্ড। অঞ্চলভুক্ত এলাকাগুলো হচ্ছে-পাঠানটুলী, আগ্রাবাদ আসকারবাদ, গোসাইলডাঙ্গা, মোগলটুলি, মাদারবাড়ি, মগবাজার ও নলসা। পাঁচ নম্বর অঞ্চলে রয়েছে ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ড। অঞ্চলভুক্ত এলাকাগুলো হচ্ছে- উত্তর পাহাড়তলী, লট ৯ পাহাড়তলী, পূর্ব পাহাড়তলী, উত্তর কাট্টলী, দক্ষিণ কাট্টলী, সরাইপাড়া, পশ্চিম নাসিরাবাদ, দক্ষিণ পাহাড়তলী (অংশ), রামপুর ও উত্তর হালিশহর। ছয় নম্বর অঞ্চলে রয়েছে ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নং ওয়ার্ড। অঞ্চলটির আওতাভুক্ত এলাকাগুলো হচ্ছে মধ্যম হালিশহর, দক্ষিণ হালিশহর, উত্তর পতেঙ্গা, দক্ষিণ পতেঙ্গা ও পূর্ব পতেঙ্গা। উল্লেখ্য, ৫৪ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ৭৫ ওর্য়াড নিয়ে গঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনেও ১০টি করে অঞ্চল আছে।.tdi_3_f68.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_f68.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});