.tdi_2_653.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_653.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});৮ বছর বয়সের শিশু মিনহাজুর রহমান। সন্ত্রাসীরা যখন তার বাবা জিল্লুর রহমান ভাণ্ডারীকে হত্যা করে তখন তার বয়স ছিল মাত্র তিন বছর। গতকাল মঙ্গলবার ছিল মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন। এ উপলক্ষে তার মা শাহনাজ আক্তার, চাচা ইকবাল হোসেন (সাক্ষ্য সম্পন্ন) ও নিজাম উদ্দিন আদালতে হাজির হন। এ করোনার মধ্যে ভাই হত্যার বিচারিক কার্যক্রম তদারকি করতে সৌদি আরব থেকে এক সপ্তাহ আগে এক প্রকার উড়ে এসেছেন ইকবাল হোসেন। শিশু মিনহাজও তার পিতার হত্যাকারীদের বিচার চাইতে আদালতে এসেছিল। হাতে ছিল বড় একটি প্ল্যাকার্ড। এতে লেখা ছিল ‘আমাকে যারা মাত্র তিন বছর বয়সে এতিম করেছে, বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত করেছে, আমি রাঙ্গুনিয়ার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর জিল্লুর রহমান ভাণ্ডারীর খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’ অবশ্য গতকাল মামলার বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি। এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী অ্যাড. আবদুস সাত্তার জানান, চাঞ্চল্যকর জিল্লুর ভাণ্ডারী হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত দিন থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি। সমন পেয়ে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজিরও ছিলেন ভিকটিম জিল্লুর স্ত্রী শাহনাজ আক্তার ও ভিকটিমের ভাই নিজাম উদ্দিন। কিন্তু আসামিপক্ষ এ মামলায় তাদের পক্ষে নতুন আইনজীবী নিয়োগ করার কথা জানায় এবং ওই আইনজীবীকে মামলার নথি পর্যালোচনার সময় দেওয়ার আবেদন করে। আদালতে এ নিয়ে উভয়পক্ষের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত নথি পর্যালোচনার জন্য আসামিপক্ষের নতুন আইনজীবীকে আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পিপি লোকমান হোসেন বলেন, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশে এ চাঞ্চল্যকর মামলাটি ৬ মাসের জন্য নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিয়েছে। করোনা সংক্রমণের কারণে আদালতে কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মামলার বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হতে পারেনি এতদিন। প্রসঙ্গত, মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে রানিরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটের সামনে ভিকটিম জিল্লুর রহমান ভাণ্ডারীকে আসামিরা এলোপাতাড়ি মারধর ও উপর্যুপরি গুলি করে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে হাসপাতালে মারা যান জিল্লুর। এ ঘটনায় ২২ জানুয়ারি ভিকটিমের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর সিআইডি এ মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দেন। ২০১৯ সালের ২৮ মে ভাণ্ডারী হত্যা মামলার ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু আদেশ দেয় আদালত। এরপর এ মামলায় দুইজন সাক্ষ্য দেন। তাদের মধ্যে প্রথম সাক্ষী ইকবাল হোসেনকে আদালতে জিল্লুর খুনের মামলার দুই আসামি প্রকাশ্যে খুন করার হুমকি দেয়। এ ঘটনার সাক্ষী ইকবাল নগরীর কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ তদন্ত করে হুমকির সত্যতা পাওয়ায় দুই আসামিকে অভিযুক্ত করে। হুমকি দেওয়ার ঘটনায় পৃথক আরেকটি মামলায় অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। চার্জশিটে থাকা এ মামলার ১৩ আসামির মধ্যে খোকন ও জসিম কারাগারে। সাত আসামি পলাতক রয়েছে। চারজন রয়েছে জামিনে।.tdi_3_fcf.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_fcf.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});