মেলান্দহ উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টার থেকে গাইনি ডাক্তার সুলতানা পারভীনের (৩৭) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন পুলিশ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক জানান, গত শনিবার দিবাগত রাতে সুলতানা পারভীন বাসায় ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর সারাদিন বাসা থেকে তার কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ কোয়ার্টারে তার রুমের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে বিছানার ওপর সুলতানা পারভীনের মৃতদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী ও সার্কেল এসপি ছামিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান-প্রাথমিকভাবে ডাক্তার সুলতানা পারভীন আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হচ্ছে। তার শরীরে প্যাথেড্রিন পুশের আলামত পাওয়া গেছে। ময়না তদন্তের পর আসল ঘটনা জানা যাবে। সুলতানা পারভীন ৩২তম বিসিএস’র মেডিকেলের (গাইনি) ছাত্রী ছিলেন। তার পিতার নাম আলাউদ্দিন আজাদ। মাতার নাম রহিমা আজাদ। তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের ২৮/এ নং বাসা, রোড নং-৩, মোহাম্মদী আবাসিক এলাকায় থাকতেন। তিনি মেলান্দহ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন।