ভারতীয় আর দেশি পেঁয়াজই ছিল রসুইঘরের চেনা পণ্য। বেশির ভাগ সময় দামও ছিল কম। বহু বছরের এই চেনা চিত্র ছিল না অন্তত সাড়ে পাঁচ মাস। ভারত রপ্তানি না করায় এ সময়ে উড়োজাহাজ, জাহাজ আর ট্রলারে করে আনা হয় ৯ দেশের পেঁয়াজ। দাম বেশি বলে খরচ সমন্বয় করতে কেজির বদলে এক-দুটি বা হালি পেঁয়াজও কিনেছেন অনেক ক্রেতা। অর্থবছর শেষে দেখা গেল, কম খেয়েও বেশি খরচ করতে হয়েছে। আমদানি ব্যয়ও হয়েছে বেশি। স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, গেল অর্থবছরে আগের তুলনায় আমদানি কমেছে ৫২ শতাংশ। আমদানি কমলেও আমদানি ব্যয় ছিল আগেরবারের তুলনায় ১৫৫ কোটি টাকা বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানিতে ব্যয় হয় ১ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। শুল্ক স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, গেল অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। আমদানি ব্যয়ের মতো খুচরা পর্যায়েও ক্রেতাকে খরচ করতে হয়েছে আরও বেশি।