একে খান রেল বস্তিতে শিশুসহ জীবন্ত দগ্ধ ৩

দৈনিক আজাদী প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২০, ০৪:২০

.tdi_2_6ec.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_6ec.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন একে খান রেল গেইটস্থ আলী আজম নগর জনতা কলোনিতে (রেল বস্তিতে) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক শিশুসহ তিনজন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এছাড়াও প্রায় ৩০ জনের মতো নারী-পুরুষ আগুনে ছুটাছুটি করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে রেল লাইন সংলগ্ন বস্তিতে চুলার আগুন থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আগুনের কারণে সিলেট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা ফৌজদারহাট স্টেশনে আটকে ছিল। এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের প্রধান ডিএডি ফরিদ আহমেদ চৌধুরী আজাদীকে জানান, আমরা ধারণা করছি চুলার আগুন থেকে পুরো বস্তিতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আগুনে এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন আবু তাহের (৬০), তার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৫০) ও মেয়ের ঘরের ১৮ মাসের নাতি রাশেদ। রাশেদের মায়ের নাম আহেলা বেগম ও পিতার নাম রুবেল আহমদ। নিহত আবু তাহের ও আয়েশা বেগমের বড় ছেলে মো. বাবুল কান্না জড়িত কন্ঠে আজাদীকে জানান, আমি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি। আমি আকবর শাহ এলাকায় থাকি। এখানে বস্তিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে এসেছি। আমার মা-বাবা-দুই ভাই ও ২ বোন এই বস্তিতে থাকতেন। আমার ছোট বোন আহেলা বেগমের একমাত্র ছেলে রাশেদ (১৮ মাস) আমার মায়ের বুকের মধ্যেই আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। এমন ভাবে আগুন লেগেছে বের হতে পারেনি। আমার মা-নাতিকে বুকে নিয়ে বের হওয়ার জন্য এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করে আর বের হতে পারেননি। আমার পরিবারের তিন সদস্যের প্রাণ গেল। কিছু বুঝে উঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো বস্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের প্রধান ডিএডি ফরিদ আহমেদ চৌধুরী আজাদীকে জানান, আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতি তদন্তের পর বলা যাবে। আগুনে ৫ মালিকের ৩৫টির মতো ঘর পুড়ে গেছে। আগুন নিভানোর জন্য আগ্রাবাদ ও বন্দর থেকে ১০টি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে ৭টা ৫০ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম কাজ করেছেন। যার ফলে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। এদিকে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুর রহমান আজাদীকে জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা ৫ মিনিটে একেখান-ইস্পাহানি আজমপুর রেল লাইন বস্তিতে আগুন লাগে। সিলিন্ডার থেকে আগুন লাগার কারণে দ্রুত পুরো বস্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ৩৫ থেকে ৪০টির মতো ঘর ভস্মিভূত হয়েছে। ৩ জন নিহত হয়েছেন। ৩০জনের মতো আহত হয়েছেন। আহতদের প্রায় সকলকেই চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী জানান, ইস্পাহানী গেইটের একটু পরে ফৌজদারহাট সাইটে বস্তিতে (রেল লাইনের সাথে লাগোয়া) সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে আগুন লাগে। রেল লাইনের সাথে বস্তিতে আগুন লাগার কারণে সিলেট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এঙপ্রেস ট্রেনটি ফৌজদারহাট স্টেশনে আটকে রাখা হয়েছিল। সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে পাহাড়িকা ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশনে চলে আসার কথা। কিন্তু আগুনের কারণে চট্টগ্রাম স্টেশনে এসেছে রাত ৯টা ১০ মিনিটে। রাত পৌনে ১০টায় সিলেটের উদ্দেশ্যে উদয়ন এঙপ্রেস চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে চলে গেছে। এদিকে চাঁদপুরগামী মেঘনা এঙপ্রেস সাড়ে ৫টায় যথা সময়ে চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে চলে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ রেলের জমি অবৈধ ভাবে দখল করে গিঞ্জি পরিবেশে ঘর তুলে ভাড়া দিয়ে অবৈধ ভাবে মোটা অংকের টাকা আয় করছে একটি চক্র। এরকম এক মালিক সাইফুল আজম রনি। তিনি গতকাল আজাদীকে জানান, এই বস্তিতে আমাদের ৫ জনের ঘর আছে। তিনজনের ঘর পুড়ে গেছে। আমার ঘর পুড়েনি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি কৃষি কাজের জন্য লিজ নিয়ে বস্তি ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছি।.tdi_3_700.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_700.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us