লিশের প্রধান মৌসুম শেষ হতে আর মাত্র একমাস বাকি। এই সময়ে নদী আর সাগরের ইলিশে সয়লাব হওয়ার কথা বরিশালসহ দক্ষিণের বিভিন্ন ইলিশ আড়ত। দামও সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ভরা মৌসুমে ইলিশের আকাল চলছে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন ইলিশ মোকামে। সরবরাহ কম থাকায় দামও আকাশচুম্বী। কেজি আকারের প্রতি কেজি ইলিশ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকায়। শুধু সাধারণের নয়, মধ্য ও উচ্চবিত্তদের কাছেও বর্তমান ইলিশের দাম অসহনীয়।
আড়তদাররা বলছেন, সাগরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া না থাকায় অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে ইলিশ আসছে না। এ কারনে অভ্যন্তরীণ নদীতে তেমন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। সামুদ্রিক কিছু ইলিশ মোকামে আসলেও চাহিদা বেশি থাকায় দাম কমছে না। তবে ভাদ্র মাসে নদী ও সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে আশা মৎস্য কমকর্তাদের।
গত ৩০ জুনের পর অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে মাছ শিকারে মৎস্য বিভাগের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। সমুদ্রে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত ২৩ জুলাই। এই সময়ে অভ্যন্তরীণ নদ-নদী এবং সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ার কথা। নদী আর সাগরের ইলিশে সয়লাব হওয়ার কথা ইলিশের মোকামগুলো। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণের প্রধান ইলিশ মোকাম বরিশালের পোর্ট রোড আড়তে চলছে ইলিশের আকাল। গত বৃহস্পতিবার বরিশাল মোকামে সর্বসাকুল্যে ইলিশ এসেছে ২ থেকে আড়াই শ’ মণ। আজ শুক্রবারও এসেছে প্রায় একই পরিমাণ ইলিশ। এ কারণে দাম তুলনামূলক বেশি।