নারায়ণগঞ্জে শুভ’র মায়ের আর্তনাদ

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

সন্তান হারানোর বেদনা কতটা নির্মম তা দেখা গেছে শুভ’র মায়ের আর্তনাদ দেখে। বন্ধু নামের ঘাতকদের নৃশংসতায় শুভ পৃথিবীর মায়া ছেড়েছে ১২ দিন আগে। এটা সবার কাছে সত্য। কিন্তু মায়ের মন! মা তার সন্তানকে খুঁজে ফিরছে এখনো। তার কাছে মনে হচ্ছে তার সন্তান মরেনি। সে বেঁচে আছে। তাই তো ব্যানারে ছাপানো সন্তানের ছবির দিকে ছুটে গিয়েছেন মা রওশন আরা। শুভ, শুভ বলে বিলাপ করতে করতে অসংখ্য চুমু খেয়েছেন সন্তানের ছবিতে। তার আর্তনাদে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেয়া এলাকাবাসী ও স্বজনরা। অনেকে নীরবে চোখের জল মুচেছেন।  বুধবার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে হাজীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী আহাদ আলম শুভ’র (৩০) হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে তল্লা হাজীগঞ্জবাসী। এলাকাবাসীর সঙ্গে নিহত শুভ’র বাবা-মা ও স্বজনরাও অংশ নেয় এই মানববন্ধনে। মানববন্ধন চলাকালে শুভ’র মায়ের এমন আর্তনাদ উপস্থিত অনেককেই কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে তোলে। অনেক কষ্টে তাকে শান্ত করতে পারলেও এক সময় মূর্চ্ছা যান তিনি। এর আগে মানববন্ধনে রওশন আরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বার বার বলতে থাকেন, ‘আমি হৃদয়, সুফিয়ানরে (উভয় শুভ হত্যা মামলার আসামি) মাইরালামু।’ এই কথা বলতে বলতে হাত দিয়ে নিজের মাথায় আঘাত করতে থাকেন তিনি। এ সময় বড় ছেলে তৈমুর আলম রোকন মাকে জাপটে ধরেন। ছেলের বুকে মাথা রেখে অঝোরে কাঁদতে থাকেন মা রওশন আরা। শুভ’র বাবা বশির মিয়া মাইক হাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মেয়রসহ সবার কাছে ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিচার চান। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। হৃদয় ওকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। পথচারী অনেকেই এটা দেখেছে। হত্যার পরও হৃদয় হাজীগঞ্জ এসে কান্নাকাটি করে। যখন খবর হলো সেও হত্যাকারীদের সঙ্গে ছিল তখন মাঝরাতে পরিবার নিয়ে পালিয়ে যায়। যে নির্মমতার সঙ্গে সুফিয়ান আমার ছেলেকে হত্যা করেছে তার বিচারের জন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই।’ মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, নিহত শুভর বড় ভাই  তৈমুর আলম রোকন, মেঝো ভাই তৌহিদ আলম শোকন, বোন ইভা, খালা পাপিয়া ও রানুসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। এদিকে ঘটনার পরপর পুলিশ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করলেও এই মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। তাছাড়া ঘটনার মূল আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা দেখাচ্ছে না পুলিশ। উল্লেখ্য, গত ১লা আগস্ট ঈদুল আজহার দিন রাত ১০টায় থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় আহাদ আলম শুভকে (৩০)। হত্যার নৃশংস একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। শুভ ৯ বছর ব্রুনাই ছিল। কয়েক মাস আগে ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে। করোনা পরিস্থিতির কারণে আর প্রবাসে যেতে পারেনি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us