অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসে নিজেকে সৎ দাবি করেন আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, আমি দায়িত্বপালনের সময় কোনো দুর্নীতি করিনি। আমি সৎ, দক্ষ, সজ্জন ও মেধাবী হিসাবে কাজ করেছি। করোনার সময় মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। আমার করোনা পজেটিভ হওয়া সত্ত্বেও সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগ দেই। সবসময় দেশের স্বার্থে কাজ করে গেছি।আবুল কালাম আজাদ বলেন, সম্প্রতি সময়ে কিছু কিছু জায়গা থেকে আমার বিরুদ্ধে অপ-তৎপরতা শুরু হয়। সেজন্য আমি আমি পদ আঁকড়ে না থেকে দেশের স্বার্থে পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। আমি চাই অনিয়মের বিচার হোক। আমাকে ডাকা হয়েছিল। মাস্ক ও পিপিই দুর্নীতির বিষয়ে ডিজি হিসাবে দুদকের কাছে বক্তব্য দিয়েছি। তিনি বলেন, আপনারা সবাই জানেন যে আমি ২০১৬ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। আমি লক্ষ্য করছিলাম যে, আমাকে নিয়ে অপপ্রচারের অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। পদ আঁকড়ে রাখা আমার কাছে সম্মানের বিষয় নয়। তাই বিবেক তাড়িত হয়ে গত ২১শে জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করি।