সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্ররীতি অনুযায়ী মানবজীবনের চারটি সময়কালের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি এই চারভাগে ভাগ করা হয়েছে পৃথিবীর সময়কাল। শাস্ত্রমতে, সত্যযুগে শ্রীনারায়ণ, ত্রেতাযুগে শ্রীরাম, দ্বাপরযুগে শ্রীকৃষ্ণ এবং কলিযুগে শ্রীচৈতন্যদেব মহাপ্রভু জীবকুলের উদ্ধারে ধরাধামে আবির্ভূত হন। নানা কারণে পৃথিবী যখন পাপাচারে পূর্ণ হয় তখনই সত্য পথের নির্দেশক পরমেশ্বরের আত্মারূপে জীবজগতে অবতারের আবির্ভাব ঘটে। পৃথিবীর এমনই এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পৃথিবীর জীবকুলের প্রার্থনায় সন্তুষ্ট হয়ে ‘অশুভ বিনাশ ও ধর্মারক্ষার্থে’ জীবের ত্রাতারূপে ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।