কালাইয়ে বৃষ্টির পানিতে বন্দি ৩০০ পরিবার

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৮ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কুজাইল ও চক-নয়াপাড়া গ্রামের প্রায় তিনশ’ পরিবার বৃষ্টির পানিতে বন্দি অবস্থায় জীবন-যাপন করছেন। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই গ্রামের চলাচলের সড়ক ও গ্রাম-দু’টো ডুবে যায়। এতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে প্রায় তিনশ’ বাড়ি-ঘর। এ অবস্থা চলছে প্রায় ২ মাস ধরে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে উপজেলার পশ্চিম কুজাইল ও চক-নয়াপাড়া গ্রামের বৃষ্টির পানি পার্শ্ববর্তী ক্ষেতলাল উপজেলার সীমানা দিয়ে অপসারিত হয়ে আসছে বহু বছর ধরে। কিন্তু ক্ষেতলাল সীমান্তে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে অপরিকল্পিতভাবে এক ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণ করার পর থেকে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে পশ্চিম কুজাইল ও চক-নয়াপাড়া গ্রাম এবং যোগাযোগের একমাত্র সড়ক। ডুবে আছে বেশকিছু বাড়ি-ঘরও। এ ছাড়া সারা বছর ঘর গৃহস্থালীর অপসারণ করা পানি প্রবাহের নর্দমাগুলোও ডুবে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ডুবে থাকার কারণে একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পশ্চিম কুজাইল সালাফিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষাদানে ঘটছে চরম ব্যাঘাত। সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে পথচারীরা চলাচল করতে পারে না। দীর্ঘ সময় পানি বন্দি হয়ে থাকার ফলে ওইসব পরিবারের সদস্যরা পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পানি বন্দি থাকার ফলে বিভিন্ন প্রজাতি গাছও মারা যাচ্ছে। সড়ক ডুবে থাকার ফলে কৃষকদের উৎপাদিত ধান, আলু ও অন্যান্য কৃষি পণ্যও হাট-বাজারে নিয়ে যেতে নানা সমস্যায় পড়তে হয় গ্রামের কৃষকদের। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে গ্রামবাসী উপজেলার প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিয়েও কোনো সমাধান মেলেনি তাদের। ফলে প্রায় ২ মাস ধরে জলমগ্ন অবস্থায় বসবাস করছেন গ্রাম দু’টোর প্রায় তিনশ’ পরিবারের মানুষ। পশ্চিম কুজাইল সালাফিয়া মাদ্রাসার পরিচালক তাজমহল হোসাইন বলেন, পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে গ্রামের সড়ক ও মাদ্রাসা জলাবদ্ধ হয়ে আছে। বর্ষার পানিতে পুরো গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় ২ মাস ধরে। এতে করে গ্রাম দু’টোর প্রায় তিনশ’ পরিবারের মানুষ চলাচল করতে পারছে না।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us