খুব ভোরে উঠে যেতাম ঈদের দিন। চোখ বন্ধ রেখেই টের পেতাম ঈদের কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গেছে সারা বাড়ীতে। দূর থেকে দুধ জ্বাল দেয়ার মিষ্টি গন্ধ ভেসে আসতো। আহ্, সেমাই বানানো শুরু হয়ে গেছে। বাবা ঝট করে বাজার সেরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, টের পাচ্ছি। রহিমন বু ’ সারা ঘর তাঁর ভাষায় ‘ধোয়া-পাখলা’ শুরু করে দিয়েছেন। আমার ঘরের সামনেটা মুছতে মুছতে বসতেন, ‘উইঠ্যা পড় বা’জান। ঈদের দিন সক্কাল সক্কাল ওঠলে নেকী অনেক বেশী’। নেকীর লোভে নয়, চারদিকে যত কিছু হচ্ছে, তার কিছুই যেন বাদ না যায়, তা নিশ্চিত করতে ঝট করে উঠে পড়তাম। উঠতে উঠতেই দেখতাম, রাতে কখন যেন মা খলিফা চাচার সেলাই করা নতুন কাপড় বালিশের পাশে রেখে দিয়েছেন