প্রায় প্রতিদিন হয়ে যাচ্ছে মিডিয়া ট্রায়াল৷ অভিযুক্তকে অপরাধী বানিয়ে, প্রশ্নকর্তাকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে বিচার হয়ে যাচ্ছে মিডিয়ায়৷ হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে ব্যক্তিগত অধিকারে৷ যখন সাংবাদিকতায় ঢুকেছিলাম, তখন বিচারব্যবস্থার একটা প্রতিষ্ঠিত নিয়মের কথা বারবার আমাদের শেখানো হয়েছিল৷ যতক্ষণ পর্যন্ত আদালতে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি অভিযুক্ত৷ যত গুরুতর অপরাধের অভিযোগ থাকুক না কেন, তিনি অপরাধী নন৷ কিন্তু এই অভিযুক্ত ও অপরাধীদের মধ্যে যে অদৃশ্য রেখা আছে, সেটা এখন ক্রমশ মুছে যাচ্ছে৷ কতদিনে বিচার হবে, কবে তার রায় বেরবে, সেই রায় কী হবে, সে সবের অপেক্ষা করার দরকার কী? হাতে যখন কলম বা মাইক আছে, তখন ইনস্ট্যান্ট বিচার হয়ে যাক৷ না হলে টিভিতে জনপ্রিয়তার রেটিং বাড়বে কী করে, কাগজের কাটতিই বা হবে কী করে? তাই ইনস্ট্যান্ট কফি বা টু মিনিটস নুডলস-এর মতো ঝটিতি বিচার৷ সেখানে বিচার কখনো মিডিয়া করে, কখনো রাজনৈতিক দল, কখনো বা সামাজিক মাধ্যম অথবা প্রচুর মানুষের কোলাহল৷ শুরু হয়ে যায়, ফাঁসি দাও৷ অসম্মান করো৷ মানহানি করে দাও৷লঙ্ক লেপন করে দাও আদালতের আগেই রায় হয়ে গেল৷ আপাতত শান্তি৷ এবার পরের বিষয়ের দিকে ছোটা৷