প্রায় সাড়ে ৮ মণ ওজনের ভোলা দা'র দাম হাঁকছেন আড়াই লাখ টাকা। ভোলা দা'র সঙ্গে ক্রেতাকে ফ্রিতে একটি ছাগল দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন খামারি আবুল বাশার বাদশা। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামের স্কুল শিক্ষক আবুল বাশার বাদশা সন্তানের মতই যত্ন করে বড় করেছেন গরুটিকে। বাড়ির পোষা গাভির জন্ম দেওয়া এ গরুর নাম রেখেছেন 'ভোলা দা'। ভোলা দা বলে ডাকলে সাড়া দেয় গরুটি। মালিকের অনুমতি ছাড়া খাদ্য গ্রহণ করে না ভোলা দা। অপরিচিত কোনো ব্যক্তি তার সামনে এলে তাড়া করলেও মালিক সামনে থাকলে শান্ত থাকে। মালিকের সামনে তার পিঠে উঠলেও কোনো বাধা নেই।
খামারি বাদশা রাতে বাড়ি ফিরলে গেট খুলতে দেরি হলে ভোলা দা চিৎকার করে বাড়ির লোকজনকে জানান দেন তার মুনিব এসে গেটে অপেক্ষা করছে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ভোলার খাবার তৈরি করে স্কুলে যান আবুল বাশার। ফিরে এসে ভোলা দা'র পরিচর্যা করেন।