ধেয়ে আসছে বন্যা, সতর্ক প্রশাসন

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০২০, ১৮:০৩

দেশে করোনা মহামারির পাশাপাশি ধেয়ে আসছে বন্যা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক রয়েছে বন্যাকবলিত জেলা প্রশাসন। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বন্যাকবলিত জেলার মানুষের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই বন্যাকবলিত জেলাগুলোয় সাধারণ মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হচ্ছে। পাঠানো হয়েছে শুকনো খাবারসহ শিশু খাদ্য। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বিভিন্ন খামারে বড়ে ওঠা গবাদিপশুর যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর রাখাসহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খামারে বা কৃষকের গোয়ালে পালিত পশুগুলোকে এই মুহূর্তে যে কোনও রোগ বালাই থেকে মুক্ত রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই মুহূর্তে দেশের ১৫টি জেলা বন্যাকবলিত। এসব জেলার ওপর দিয়ে বহমান নদনদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলায় বসবাসকারী মানুষের ঘরবাড়িতে পানি উঠে গেছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও মাছের ঘের। জেলাগুলো হচ্ছে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর।

এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের ১১টি নদীর পানি ১৫টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দেশের উত্তর-পূর্বাংশের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পয়েন্টগুলো হচ্ছে ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্ট, ঘাগট নদীর গাইবান্ধা পয়েন্ট, ব্রহ্মপুত্র নদীর নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্ট, যমুনা নদীর ফুলছড়ি, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি, কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ পয়েন্ট, আত্রাই নদীর বাঘাবাড়ি পয়েন্ট, ধলেশ্বরীর এলাসিন, পদ্মার গোয়ালন্দ, সুরমার কানাইঘাট ও সুনামগঞ্জ পয়েন্ট এবং পুরাতন সুরমার দিরাই এলাকা। বন্যা পরিস্থিতি মনিটিরিংয়ে রাখতে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১০১ পর্যবেক্ষণাধীন পানি স্টেশনের মধ্যে ১৭টিতে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ৬১টি স্টেশনের পানি বাড়ছে, কমছে ৩৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে একটির। ধরলার কুড়িগ্রাম পয়েন্টে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে ১৮, ঘাগটের গাইবান্ধা পয়েন্টে ২৭, ব্রহ্মপুত্রের নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৪, ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে ২৯, যমুনার ফুলছড়ি পয়েন্টে ৫৬, যমুনার বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৫৯, যমুনার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ৫১, যমুনার কাজিপুর পয়েন্টে ৫৫, যমুনার সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৩৫, যমুনার আরিচা পয়েন্টে ১০, বাঘাবাড়ির আত্রাই পয়েন্টে ৪৯, ধলেশ্বরীর এলাসিন পয়েন্টে ৪৬, পদ্মার গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৪৬, পদ্মার ভাগ্যকূল পয়েন্টে ২০, পদ্মার মাওয়া পয়েন্টে ১১ এবং পুরাতন সুরমার দিরাই পয়েন্টে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যা পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণে কন্ট্রোল রুম চালুর বিষয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ জানান, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর হচ্ছে ০১৩১৮-২৩৪৫৬০।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

৮০ কিমি. বেগে ঝড়ের আভাস

ঢাকা পোষ্ট | আবহাওয়া অধিদফতর
৮ মাস, ১ সপ্তাহ আগে

তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঢাকা পোষ্ট | আবহাওয়া অধিদফতর
৮ মাস, ২ সপ্তাহ আগে

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us