কিছুতেই যেন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না করোনাভাইরাসকে। পুরো পৃথিবীর মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম এই ক্ষুদ্র জীবাণু। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের দিন-রাত পরিশ্রমের পরেও নির্ভরযোগ্য কোনো সমাধান মেলেনি এখনও। আর এমন অবস্থায় ঠান্ডা লাগলে বা জ্বর-সর্দি দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়েও থাকা যায় না। যেহেতু এই সময়টি ঋতু পরিবর্তনের সময়, তাই অনেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। তাই জ্বর-সর্দি হলেই তা করোনাভাইরাস ভেবে নেবেন না।
চিকিৎসকদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গের সঙ্গে করোনাভাইরাসের উপসর্গ প্রায় এক হলেও, খুব সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্যের মাধ্যমে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও করোনাকে আলাদা করা সম্ভব।
বোল্ডস্কাই জানাচ্ছে করোনা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা এই দুটি ভাইরাসের উপসর্গের মধ্যে পার্থক্যগুলো কী-
ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণ:
* এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে হালকা থেকে মাঝারি জ্বর ও গা ম্যাজম্যাজে ভাব দেখা দেয়। * জ্বর সাধারণত দুই থেকে তিন দিন বা খুব বেশি হলে চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সেরে ওঠে। * সামান্য সর্দি ভাব, কখনও কখনও আবার নাক দিয়ে পানি পড়ে। * এই সমস্ত কিছুর সঙ্গে হাঁচি এবং হালকা কাশিও থাকে। * সারা গায়ে ব্যাথা ও অসহ্য মাথার যন্ত্রণা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনাভাইরাসের পরিচিত লক্ষণ:
* জ্বর * শুকনো কাশি * শারীরিক দুর্বলতা * গলা ব্যথা কম সাধারণ লক্ষণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনাভাইরাসের কম পরিচিত লক্ষণ:
* পা, হাত ও শরীরের অসহ্য যন্ত্রণা * পেট খারাপ * মাথার যন্ত্রণা * স্বাদ ও ঘ্রাণ শক্তি হারিয়ে ফেলা * ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়া * পায়ের আঙ্গুলে লালচেভাব জন্ম নেয়া বা বিবর্ণতা।
গুরুতর লক্ষণ
* শ্বাসকষ্ট * বুকে অসহ্য ব্যথা।
করোনাভাইরাসের এসব লক্ষণ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার দিন থেকে মাত্র ৫ দিনের মাথায় দেখা দেয়। কখনো কখনো লক্ষণ দেখা দিতে ১৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্তও সময় লাগে।
যেসব সতর্কতা মেনে চলবেন:
* উভয়ের ক্ষেত্রেই সুষম খাদ্য গ্রহণ ও শরীরচর্চার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করা। কারণ এই দুই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঠিক রাখতেই হবে।