দিল্লি দাঙ্গায় জাকির নায়েক, সৌদি ও পিআইএফ এর ইন্ধন ছিল?

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২০, ১৩:১১

ভারতের রাজধানীতে দাঙ্গার ছবি এখনো মুছে যায়নি। এরই মাঝে দিল্লি পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী বিভাগ সামনে এনেছে নতুন তথ্য, যা বেশ চাঞ্চল্যকর।

এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, খালিদ সাইফি, প্রাথমিকভাবে যাকে দিল্লি দাঙ্গায় যুক্ত থাকার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তিনি জাকির নায়েকের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় দেখা করেছিলেন। পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, সাইফি দিল্লি দাঙ্গার অন্যতম হোতা এবং ওমর খালিদ এবং তাহির হুসেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, এমন তথ্যও সামনে আনছে পুলিশ।

দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের স্ট্যাটাস রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি আরব থেকে আর্থিক মদদ পৌঁছে গেছে সিঙ্গাপুরের এক এনআরআই ব্যক্তির কাছে।

তদন্তে আরো সামনে এসেছে, প্রাক্তন কংগ্রেস মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলর ইসরাত জাহান গাজিয়াবাদের সন্দেহজনক জায়গা থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন, পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের কিছু আত্মীয়রাও তাকে সাহায্য করেছেন বলেই জানা গেছে। মার্চ মাসে দিল্লি দাঙ্গায় সংশ্লিষ্টতা থাকার জন্য ইসরাত জাহানকে গ্রেপ্তার করেছিল দিল্লি পুলিশ।

তবে খালিদ সাইফি এবং ইসরাত জাহানের জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া এখনো বেশ কিছুটা আটকে রয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ না কাটলে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না।

তদন্তের পরে দেখা গেছে, খালিদ সাইফির অ্যাকাউণ্টে দিল্লি দাঙ্গার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে টাকা এসেছে। টাকা ভারতের একটি এনজিওতে পাঠানো হয়েছে যা পরিচালনা করেন ওমর খালিদ। সেখানে আরো একজন আছেন যিনি বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন। সিঙ্গাপুরের ওই ব্যক্তি কে সে বিষয়ে খোঁজ চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ কর্তৃপক্ষ।

তবে পুলিশ আশাবাদী যে খালিদ সাইফির মোবাইল ফোন নজরে রাখলে অনেক নতুন তথ্য পাওয়া যাবে। সূত্র ইন্ডিয়া টুডে’কে জানিয়েছে, টাকার বিষয়ে তথ্য পেতে মোবাইল ফোনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে সাইফির সূত্র ধরে জাকির নায়েক অবধি পৌঁছতে পারবে পুলিশ।

খালিদ সাইফির পাসপোর্ট দেখে ইতোমধ্যেই বিদেশে একাধিকবার যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পেরেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে দাঙ্গা ছড়ানোর আর্থিক রসদ জোগাতে জাকির নায়েকসহ অনেকের সঙ্গে তিনি দেখা করতে একাধিক জায়গায় গেছেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us