এবারেও রাজকুমারকে নিয়ে মাতামাতি, দাম ২০ লাখ

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২০, ০৮:৫৪

গত বছরের কোরবানির ঈদের আগে কক্সবাজার অঞ্চলের পশুর হাট মাতিয়েছিল সুঠামদেহী ষাঁড় ‘রাজকুমার’। একাধিক বাজারে এই গরু নিয়ে যাওয়া হলেও আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় বিক্রি করতে পারেননি মালিক। ওই সময় রাজকুমারের ওজন ছিল প্রায় ২৫ মণ। তবে আরো একবছর লালন-পালন করায় এবার গরুটির ওজন দাঁড়িয়েছে ৩০ মণে অর্থাৎ ১২০০ কেজিতে।

করোনা পরিস্থিতিতে এবারের কোরবানির পশুর হাট আদৌ জমবে কী-না সেই শঙ্কা থাকলেও ঈদ ঘনিয়ে আসার আগে থেকেই চারিদিকে ‘রাজকুমার’কে নিয়ে চলছে মাতামাতি। মালিক আবু ওবাইদ বাদল এবার গরুটির দাম হাঁকাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা। গতবছর হাঁকিয়েছিলেন ১৫ লাখ টাকার মতো।

তবে ইতোমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক ক্রেতাই এই রাজকুমারকে ১০ লাখ টাকায় কেনার দর দিয়েছেন। কিন্তু তিনবছর ধরে এই গরুকে লালন-পালনসহ সার্বিক হিসেবে এই দামে গরুটি বিক্রি করলে তার যথেষ্ট লোকসান হবে বলে জানিয়েছেন মালিক।

রাজকুমারের মালিক আবু ওবাইদ বাদলের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশ কাটা গ্রামে। তিনি কৃষিকাজের পাশাপাশি নিজের জায়গায় গড়ে তুলেছেন বাদল ডেইরি ফার্ম। সেই ফার্মে বর্তমানে গরুর সংখ্যা ৪৪টি।

আবু ওবাইদ বাদলের দাবি, তাঁর এই ‘রাজকুমার’ জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ওজনের গরু। এই পরিমাণ ওজনের গরু জেলার মধ্যে আর নেই। কোনপ্রকার শরীরবর্ধক ওষুধ প্রয়োগ না করেই খড়, ভূসি, কমলা, মাল্টা, চিড়া, সয়াবিন গোটা, গুঁড়সহ দেশীয় প্রজাতির খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালন-পালন করেছেন। বিদ্যুৎচালিত চারটি পাখা দিয়ে সার্বক্ষণিক গরুটিকে শীতল বাতাসও দেওয়া হয়। নিজে ছাড়াও রাজকুমারের দেখভাল করতে একজন কর্মচারীও নিয়োজিত রয়েছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দীও প্রতিনিয়ত রাজকুমারের খোঁজ রাখেন এবং নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকেন।

মালিক আবু ওবাইদ বাদল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গতবছর কোরবানির পশুর হাটে রাজকুমারকে বিক্রি করা যায়নি আশানুরূপ দাম না পাওয়ায়। এবারের করোনাকালে গরুটি নিয়ে চিন্তায় আছি, সঠিকমূল্যে বিক্রি করতে পারবো কী-না। এর পরও আমি প্রস্তুত রয়েছি এবার রাজকুমারকে বিক্রি করে দিতে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us