চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব
প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০২০, ১৬:৪৮
চিকিৎসা বিজ্ঞানে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচনে ‘চিকিৎসা বিজ্ঞান টাস্কফোর্স’ (টিএইচএস) গঠনসহ তিন দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। শুক্রবার দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বাংলাদেশে দেশীয় গবেষকদের দ্বারা কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট, টিকা ও অন্যান্য ওষুধ আবিষ্কারে চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়েছে তা এগিয়ে নেয়া আমাদের মৌলিক জাতীয় কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সময় এসেছে রাষ্ট্রের উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণের। এসব গবেষণা কর্মে নিয়োজিত গবেষক ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে অভিনন্দন জানাই।’ তারা বলেন, ‘ইতোমধ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং গ্লোব বায়োটিক লিমিটেডের এসব উদ্ভাবন পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। ওষুধ আবিষ্কারে অত্যাধুনিক গবেষণা কেন্দ্রও স্থাপিত হয়েছে। আরও প্রতিষ্ঠান দেশে অনুরূপ গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের ওষুধ প্রস্তুতকারী অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিছু কিছু দুরারোগ্য ব্যাধির ওষুধ উৎপাদনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে লন্ডভন্ড অবস্থার মধ্যেও এসব সংবাদ খুবই আশাবাদের জন্ম দিচ্ছে।’ জেএসডি নেতারা বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কোনো অবদান স্বীকৃতি লাভ করলে বিশ্বব্যাপী বাঙালি জাতির মর্যাদা উচ্চতর পর্যায়ে উপনীত হবে, যা হবে যুগান্তকারী ঘটনা।
জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নয়নই হবে জাতির আত্মমর্যাদার উন্নয়ন। এর কোনো বিকল্প নেই।’ তারা বলেন, ‘এসব চিকিৎসা বিজ্ঞানীর গবেষণা কাজকে উৎসাহিত করতে সমর্থন জোগাতে সরকার এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও জোরালো ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের গবেষণা কাজে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা সমর্থন অব্যাহত থাকলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বড় ধরনের অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।’
জেএসডির তিন দফা প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- চিকিৎসা বিজ্ঞানী, কেমিস্ট, গবেষক,ফার্মাসিস্ট ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনদের নিয়ে ‘চিকিৎসা বিজ্ঞান টাস্কফোর্স’ (টিএইচএস) গঠন করা; স্বাস্থ্য খাতের মৌলিক ক্ষেত্রে চিকিৎসা গবেষণার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তহবিল বরাদ্দ করা; স্থায়ী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণার প্রয়োজনে চিকিৎসা বিজ্ঞান একাডেমি (এইচএসএ) প্রতিষ্ঠা করা।