করোনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কূটনীতিকদের মতামত নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০২০, ১৬:১০
করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা এবং বাংলাদেশের জন্য করণীয় নির্ধারণসহ কূটনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও রাষ্ট্রদূতদের মতামত নিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাবেক কূটনীকিদের নিয়ে ভার্চুয়াল এই সভার আয়োজন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। সভায় সাবেক কূটনীতিকরা ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে আলোকপাত করেন। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতি ও করোনা পরবর্তী সময়ের জন্য স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করা ছাড়াও বাংলাদেশের ওপর করোনা মহামারির সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন সাবেক কূটনীতিকরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত এই সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সংযুক্ত ছিলেন। সভায় সাবেক কূটনীতিকরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে আসার পরও যেন বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে কোটামুক্ত সুবিধা পেতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেওয়া এবং চীন থেকে কোটামুক্ত সুবিধা প্রাপ্তির প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক সংস্থার ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো এবং দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারকরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানান তারা।
এছাড়া করোনার টিকা আবিস্কৃত হলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশসমূহ যাতে উন্নত বিশ্বেরমত একইভাবে উপকৃত হতে পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন কূটনীতিকরা। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন আয়োজিত কোভিড-১৯ তহবিল গঠনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এবং গ্লোবাল ভ্যাকসিনেসন সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন কূটনীতিকরা।