প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিল মোদি সরকার
প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২০, ০৮:৫৫
ভারতের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষনেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিশ দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। ভারতের নগরোন্নয়ন মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার এ ব্যাপারে নোটিশ জারি করে জানিয়েছে, আগামী ১ আগস্টের মধ্যে বাংলো ছাড়তে হবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে।
কয়েক মাস আগে, গান্ধী পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপকে (এসপিজি) সরিয়ে দিয়েছিল মোদি সরকার। এর পরিবর্তে শুধু কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তারপরই এ পদক্ষেপ নিল ভারত সরকার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল এ খবর জানিয়েছে।
জানা গেছে, বাজপেয়ি সরকারের আমল থেকেই নয়াদিল্লির লোধি এস্টেটের একটি বাংলোতে থাকেন প্রিয়াঙ্কা। ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর থেকেই রাহুল, প্রিয়াঙ্কা ও প্রিয়াঙ্কার পরিবার এসপিজি নিরাপত্তা পেতেন। সে কারণেই সরকারি বাংলো দেওয়া হয়েছিল প্রিয়াঙ্কাকে। কিন্তু, এখন আর যেহেতু সে নিরাপত্তা প্রিয়াঙ্কা পান না, তাই তাঁকে বাংলোও ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে।
তবে প্রিয়াঙ্কাকে বাংলো ছাড়তে হলেও সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর সরকারি বাংলো থাকবে। লোকসভার পাঁচবারের সাংসদ সোনিয়া গান্ধী। তা ছাড়া তিনি বৃহত্তম বিরোধী দল কংগ্রেসের সভানেত্রী। ফলে লুটিয়েন দিল্লিতে এমনিতেই সোনিয়া গান্ধীর ‘টাইপ এইট’ বাংলো পাওয়ার কথা। রাহুল গান্ধীও চারবারের সাংসদ। তুঘলক লেনে তিনি যে সরকারি বাসভবনে থাকেন, তা সাংসদ হিসেবেই পাওয়ার যোগ্য তিনি। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। তাঁর কেবল সাংগঠনিক পদ রয়েছে। সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য তিনি। ফলে সরকারি বাংলো তাঁর পাওয়ার কথা নয়।
পর্যবেক্ষকদের মতে, নিয়ম অনুযায়ী সরকারি যে নোটিশ ইস্যু করেছে তাতে কোনো ভুল নেই। কিন্তু এটাও ঠিক যে নয়াদিল্লির রাজনৈতিক ইতিহাসে এ ধরনের সংকীর্ণতা অতীতে ছিল না। বাজপেয়ি সরকারের জমানায় কংগ্রেসের নেতারা সংসদের সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও সরকারি বাংলোতে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। আবার কংগ্রেস সরকারের সময় বিজেপির সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও সরকারি বাংলোতে থেকেছেন। এমনকি এও দেখা গেছে যে নোটিশ দেওয়ার পরও বাংলো ছাড়তে চাননি অনেকে। তবে সংসদের সদস্য না হয়েও লুটিয়েন দিল্লিতে সরকারি বাংলোতে থাকা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে গণপূর্ত দপ্তরকে ভাড়া দিতে হয়।