নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা
প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২০, ০৮:৩৭
দেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আমলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন ও তৃণমূল পর্যন্ত নারীর ক্ষমতায়নের প্রসার ঘটেছে।
নারী শিক্ষা নিশ্চিত করা, নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা, সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন এবং কর্মক্ষেত্র ও রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে নারীকে বসিয়েছেন। তার নেতৃত্বাধীন জাতীয় সংসদে প্রথম নারী সংসদ উপনেতা হয়েছেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার পদে নারী বসেছেন তার হাত ধরেই, যিনি পর পর তিন মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এটা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
শেখ হাসিনার সরকারের ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে নারী উন্নয়নে বরাদ্দ ছিল ২৮ শতাংশ, ২০১৮-১৯ সালে তা ২৯.৬৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়। প্রতি বছরই বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দ্বাদশ শ্রেণি পযন্ত মেয়েদের বিনা বেতনে শিক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
তার সরকারের আমলেই নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে কোনও জামানত ছাড়াই সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা এসএমই ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার নেতৃত্বেই একটি যুগোপযোগী জাতীয় নারী নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।
দুস্থ, অসহায় নারীদের জন্য ভিজিএফ, ভিজিডি, দুস্থ ভাতা, বয়স্কা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ও গর্ভবতী মায়েদের ভাতা, অক্ষম মা ও স্বামী পরিত্যাক্তাদের জন্য ভাতা, বিধবা ভাতা, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে শেখ হাসিনার সরকার। সর্বক্ষেত্রে সন্তানের পরিচয় ও নিবন্ধনে বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নামও যুক্ত করা হয়েছে তার আমলেই। শিক্ষার বিনিময়ে ছাত্রছাত্রীদের সরকারি উপবৃত্তির টাকা মায়ের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাঠানোর বিধান করা হয়েছে।
সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীসহ সামরিক বাহিনীতে নারীদের অধিক অংশগ্রহণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ও উচ্চ পদগুলোতে নারীদের নিয়োগ শেখ হাসিনার সরকারের সময় ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। তিনিই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য, উচ্চ আদালতের বিচারপতি, প্রথম সংখ্যালঘু নারী সেনাবাহিনীর মেজর করেছেন। রাজনীতি ও দেশ পরিচালনায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ থেকে বাড়িয়ে শেখ হাসিনা ৫০ এ উন্নীত করেছেন। স্থানীয় সরকার পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়নে ইউনিয়ন পরিষদে নারী জনপ্রতিনিধিকে সরাসরি ভোটে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছেন শেখ হাসিনা। বাল্যবিবাহ রোধ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কঠোর আইন করেছে সরকার। নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।