ছয় মাসে ভারত সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যাকাণ্ড আরও বেড়েছে

বিবিসি বাংলা (ইংল্যান্ড) প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০২০, ১৮:৪০

চলতি ২০২০ সালের প্রথম ছয় মাসে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের গুলি ও নির্যাতনে বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সংগ্রহ করা তথ্যে দেখা গেছে।

এসব তথ্য বলছে, জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত সীমান্তে ২৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের সৈন্যদের গুলিতে।

মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র এই তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র বা আসক।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কে উন্নতি ঘটলেও তার প্রতিফলন দেখা যায়নি দুই দেশের সীমান্তে। সীমান্তহত্যা বন্ধে দুই দেশের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হলেও তাতে সীমান্ত পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেনি, বরং মাঝে কিছুটা কমার পর সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা আবার বেড়ে চলেছে।

তবে বিএসএফ কর্মকর্তারা বিবিসি বাংলাকে জানান যে সীমান্তে অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা ভারতীয় প্রহরীদের ওপরে আক্রমণ করলে তবেই কেবল প্রাণ বাঁচাতে তারা গুলি চালিয়ে থাকেন।

সীমান্তে বাড়ছে হত্যাকাণ্ড
গত বছরের প্রথম ছয়মাসে সীমান্তে যতগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছে, এই বছরের প্রথম ছয়মাসে সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল, আর নির্যাতনে মারা গেছেন দুই জন।

অথচ ২০২০ সালের প্রথম ছয়মাসে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে।

অন্যদিকে, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের পুরো সময়টায় ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফ'র হাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৮ জন বাংলাদেশি - যাদের মধ্যে ৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন গুলিতে, আর বাকি ৫ জনকে নির্যাতন করে মারা হয়।

কিন্তু ঠিক এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালে সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন এমন বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা ছিল ১৪ জন। সে হিসেবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ২০১৯ সালে প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়ে যায়।

চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোয়।

অন্যদিকে, জুন মাসেই যশোরে বিএসএফের গুলিতে একজন নিহত আর একজন আহত হয়েছেন।

সেখানকার স্থানীয় সাংবাদিক সাজেদ রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, যশোরের বেনাপোল সীমান্তে যে এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই কিংবা নদী এলাকা, সেখানেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটছে।

২০১৯ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন যে গত ১০ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে মোট ২৯৪ জন বাংলাদেশি নিহত হন।

বছরভিত্তিক সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ২০০৯ সালে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে মারা যান ৬৬ জন বাংলাদেশি, ২০১০ সালে ৫৫ জন, ২০১১ ও ২০১২ সালে ২৪ জন করে, ২০১৩ সালে ১৮ জন, ২০১৪ সালে ২৪ জন, ২০১৫ সালে ৩৮ জন, ২০১৬ সালে ২৫ জন, ২০১৭ সালে ১৭ জন এবং ২০১৮ সালে ৩ জন মারা যান সীমান্তে।

তবে বেসরকারি সংস্থাগুলোর হিসাবে সীমান্তে হত্যার সংখ্যা অনেক বেশি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

কেটে গেল ১০ বছর, ন্যায়বিচার মেলেনি এখনো

সময় টিভি | ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)
৩ বছর, ১০ মাস আগে

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us