রাজধানীর দুটি হাটে মেলেনি সরকারি দর, তিনটি হাটে পড়েনি দরপত্রই
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২০, ০৫:০০
ঢাকা দক্ষিণ সিটির দুটি কোরবানির পশুর হাটে সরকারি দরের চেয়ে কম মূল্যে দরপত্র জমা পড়েছে। এই হাট দুটি হচ্ছে মেরাদিয়া বাজার ও আরমানিটোলা মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা। অন্যদিকে তিনটি হাট ইজারা নিতে পড়েনি কোনও দরপত্রই। এই কারণে এই পাঁচটি হাটে পুনরায় টেন্ডার হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৯ জুন) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে দরপত্রগুলো খোলেন ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন।
মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালী জায়গার সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন খিলগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ময়েন উদ্দিন মিলন। তিনি এই হাটের দর দিয়েছেন ৯০ লাখ তিন হাজার টাকা। তবে এর সরকারি দর ছিল এক কোটি ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা। তিনি সরকারি দরের চেয়ে ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ টাকা কম দর দিয়েছেন। ফলে হাটটিতে পুনরায় টেন্ডার হতে পারে।
অন্যদিকে, আরমানিটোলা মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান। তিনি সরকারি দর থেকে ৫০ লাখ ২৮ হাজার ৫৪ টাকা কম দর দিয়েছেন। হাটটিতে তিনিই সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন এক কোটি ১৫ লাখ টাকা। যার সরকারি দর ছিল এক কোটি ৬৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৪ টাকা।
এদিকে কোনও দরপত্র পড়েনি শ্যামপুর বালুর মাঠ, দনিয়া কলেজ ও ধূপখোলা মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গার। শ্যামপুর বালুর মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার জন্য সরকারি দর ছিল এক কোটি দুই লাখ ১১ হাজার ৩৩৫ টাকা। দনিয়া কলেজ মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার জন্য সরকারি দর ছিল এক কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৬৭ টাকা এবং ধূপখোলা মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গার জন্য সরকারি দর ছিল ৪৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৩৪ টাকা। কিন্তু এই তিনটি হাটের জন্য কোনও দরপত্র জমা পড়েনি।