You have reached your daily news limit

Please log in to continue


শুধু দলেই নয়, স্ত্রীর সঙ্গেও গ্রুপিং নিয়ে ঠান্ডা লড়াই দুর্জয়ের

অরাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে নৌকা প্রতীকের জোরে এমপি নির্বাচিত হয়েও নাঈমুর রহমান দুর্জয় সাংগঠনিক ভাবে মোটেও তৎপর ছিলেন না। কিন্তু সাংগঠনিক দক্ষতা কম থাকলেও গ্রুপিং-লবিং আর দলে বিভক্তি সৃষ্টির কুটকৌশলে বারবারই নিজেকে সেরাদের সেরা প্রমাণ করেছেন তিনি। দলের নানা পর্যায়ে বিভক্তির বিবাদ সৃষ্টি করেই ক্ষ্যান্ত থাকেননি দুর্জয়। বাণিজ্যিক সুবিধা হাতিয়ে নেয়ার স্বার্থে নিজের স্ত্রী হ্যাপীর সঙ্গেও গ্রুপিংজনিত বিরোধ চলছে তার। মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি জাহিদ মালেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই জেলার সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তারই নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু শুরুতেই বাধ সাধেন দুর্জয়। তিনি তার স্বভাবজাত কূটকৌশল ব্যবহার করে জেলার আওয়ামী রাজনীতিকে স্পষ্ট দুটি ভাগে বিভক্ত করে ফেলেন। জেলা আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশসহ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে প্রতিপক্ষ বানিয়ে দুর্জয়ের তৎপরতায় মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন ও জেলা যুবলীগকে পাশে নিয়ে পাল্টা গ্রুপ গড়ে উঠে। জেলায় যে কোনো সিদ্ধান্তের প্রশ্নে বরাবরই এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের ঘোর বিরোধিতা করে থাকে। ফলে জেলাবাসী নেতৃত্বের মতবিরোধেই অনেক উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। ইদানিং যুবলীগ-ছাত্রলীগে কর্তৃত্ব গড়ে তোলার পর এ দুটি সংগঠনে আভ্যন্তরীণ বিরোধের সূত্রপাতও তিনি ঘটিয়েছেন বলে চাউর আছে। বাছাইকৃত কয়েকজন নেতাকে পাশে পাশে রেখে বাকিদের দূরে হটিয়ে দেয়া আবার আশপাশের নেতাদের কাছ থেকে বিতাড়িত করে অন্য গ্রুপকে কাছে টানার মাধ্যমেই আভ্যন্তরীণ বিরোধ বাধানোর অসংখ্য নজির রয়েছে দুর্জয়ের। জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি বরাবরই এমপি পত্নী হ্যাপীর পক্ষে নানা কর্মকাণ্ড সম্পাদন করে থাকে। একইভাবে জনি ও অনি সব কাজ করে দুর্জয়ের হয়ে। এ নিয়েও স্পষ্ট দুটি গ্রুপ গড়ে উঠেছে-এক গ্রুপের সদস্যরা অন্য গ্রুপকে সহ্য করতেই পারেন না। প্রায়ই তাদের বাদানুবাদ হাতাহাতি পর্যায়ে গড়ায় বলেও জানা গেছে। সম্প্রতি মানিকগঞ্জ পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণকারী বাবুল সরকার মন্ত্রীর গ্রুপ ছেড়েৃ দুর্জয় গ্রুপে যোগ দেন। এমপি দুর্জয় গ্রামের বাড়িতে গেলেই বাবুল সরকার পরিবহন সেক্টরের বিষয়াদি, হিসাব নিকাশ নিয়ে এমপি দুর্জয়ের বাড়িতে যান, সরাসরি এমপির বেডরুমে ঢুকেও গোপন আলোচনা সারেন। টার্মিনাল-স্ট্যান্ডের কোনো চাঁদাবাজের সরাসরি বেডরুমে যাতায়াত মেনে নিতে পারেননি দুর্জয়ের স্ত্রী ফারহানা রহমান হ্যাপী। ফলে তার ইঙ্গিতে তার ঘনিষ্ঠ সহচর আব্বাস ও মনি সম্প্রতি বাবুল সরকাররে সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করে এবং তাকে এমপির বাসায় যাতায়াত করতে নিষেধ করে দেয়া হয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন