চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে অনুদান ঘোষণা করেছে সরকার। এ অর্থবছরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তিনটি চলচ্চিত্র, শিশুতোষ দুটি চলচ্চিত্র, সাধারণ শাখায় ১১টি চলচ্চিত্রসহ মোট ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও নয়টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এ বছর অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংকটে চলচ্চিত্র শিল্পের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর অধিক সংখ্যক চলচ্চিত্রে অনুদান দেওয়ার কথা জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’ শিরোনামে চলচ্চিত্রের জন্য সর্বোচ্চ ৭০ লাখ টাকা অনুদান পাচ্ছেন নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার। এই চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন তিনি। ‘কাজলরেখা’ শিরোনামের চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান পাচ্ছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম, ছবিটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করবেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘যোদ্ধা’র জন্য অনুদান পাচ্ছেন নির্মাতা এস এ হক অলিক, এই ছবিটিও প্রযোজনা করবেন তিনি। নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ ‘শ্যামা কাব্য’ চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান পাচ্ছেন। ছবিটি পরিচালনা ও প্রযোজনা করবেন তিনি নিজেই। প্রদীপ ঘোষের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’, এম এন ইস্পাহানীর প্রযোজনা ও ইস্পাহানী আরিফ জাহানের পরিচালনায় ‘হৃদিতা’, ফজলুল কবীর তুহিনের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘গাঙকুমারী’, অনুপম কুমার বড়ুয়ার প্রযোজনা ও সন্তোষ কুমার বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘ছায়াবৃক্ষ’, রওশন আরা রোজিনার প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘ফিরে দেখা’, তাহেরা ফেরদৌস জেনিফারের প্রযোজনা ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের পরিচালনায় ‘আশীর্বাদ’, ইফতেখার আলমের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘লেখক’, আবদুল মমিন খানের প্রযোজনা ও মনজুরুল ইসলামের ‘বিলডাকিনী’ অনুদান পাচ্ছে। মুক্তিযু্দ্ধভিত্তিক তিনটি চলচ্চিত্র হচ্ছে—পঙ্কজ পালিতের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘একটি না বলা গল্প’।