রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় এবার আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনার এই সংকটের মধ্যেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে ইতোমধ্যে এ উপজেলার বগাছড়ি হতে ২ হাজার ৬০০ কেজি ল্যাংড়া, হিমসাগর ও আম্রপালি জাতের আম ইউরোপের দেশ ইতালিতে এবং ৪০০ কেজি আম যুক্তরাজ্যে রফতানি করা হয়েছে। আরও ৮ হাজার ৫০০ কেজি আম রফতানির আদেশ পাওয়া গেছে। শনিবার কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীনেও আম রফতানির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এ মৌসুমে প্রায় ৭০-৮০ টন রফতানিযোগ্য আম এ উপজেলা থেকে সরবরাহ করা যাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের’ সহযোগিতায় এ উপজেলায় ল্যাংড়া, হিমসাগর, আম্রপালি, মল্লিকাসহ অন্যান্য জাতের আমের চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ কিছুদিন আগেও এলাকার চাষিরা আমে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব, কম ফলন এবং পরিচর্যার অভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় আম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন। বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মেহেদী মাসুদ জানান, এ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় হর্টিকালচার সেন্টারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট আম চাষিদের বাগানের নিবিড় পরিচর্যা, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে।
এতে এ এলাকার আম বাগানের অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে এবং রফতানিযোগ্য আমের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রকল্প এলাকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রকল্পের নিজস্ব ট্রাকের মাধ্যমে আম পরিবহন করা হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের’ মাধ্যমে দেশের রফতানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এমইউএইচ/এনএফ/জেআইএম