কয়েক দিনের টানা বর্ষণে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল পাকা সড়কের গণিরহাট এলাকায় নির্মাণাধীন ব্রীজের বাইপাস সড়ক পানিতে তলিয়ে ভেঙে যাওয়ায় ওই দুই উপজেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল পাকা সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ চলছে। এরই অংশ হিসেবে ওই সড়কের গণিরহাট এলাকায় অন্তার ব্রীজ ভেঙ্গে পুনরায় নির্মাণ করছে গোপালগঞ্জের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ সচল রাখতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণাধীন ব্রীজের পাশে দায়সারাভাবে একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করেন যা কয়েক দিনের বর্ষণে পানিতে তলিয়ে যায়। পানির প্রবাহ বেশি থাকায় এরই মধ্যে সড়কের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। এতে শুত্রবার রাত থেকেই পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল উপজেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
জেলা সদর থেকে পীরগঞ্জ হয়ে রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলায় চলাচলকারী যানবাহন সরাসরি চলাচল করতে না পেরে শুধু পীরগঞ্জ হয়ে ওই ব্রীজের পূর্ব পাশ পর্যন্ত চলাচল করছে। অপর দিকে হরিপুর ও রাণীশংকৈল থেকে পীরগঞ্জ অথবা জেলা সদরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যানবাহন পীরগঞ্জ বা জেলা সদরে যেতে পারছে না। সেগুলো ওই ব্রীজের পশ্চিম পাশ পর্যন্ত চলাচল করছে। ফলে সাধারণ মানুষকে যানবাহন থেকে নেমে ভেঙে যাওয়া ওই বাইপাস সড়কের পানি মাড়িয়ে অপর প্রান্তে গিয়ে আবারো অন্য যানবাহনে উঠে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীসহ পথচারীরা।
পীরগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে রাণীশংকৈলের উদ্দেশ্যে যাওয়া আব্দুর রহিম কিরণ নামে এক পথচারী জানান, বাইপাসটি ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ কারণে গন্তব্যে যেতে পারলাম না। নিরুপায় হয়ে ফিরে আসতে হলো।
জনদুর্ভোগের চিত্র দেখতে শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম ও ইউএনও রেজাউল করিম। তারা বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানান এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাইপাস সড়ক মেরামত করার কথা বলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম জানান, সড়ক জনপথ বিভাগের ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি সেখানে অস্থায়ীভাবে বেইলি ব্রীজ নির্মাণ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলেছেন। আশা করছি দু-এক দিনের মধ্যেই সেখানে বেইলি ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।