বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কে এগিয়ে চীন না ভারত?

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২০, ১১:৫৯

চীন ও ভারতের মধ্যকার চলমান সংকট শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে রূপ নিলে বাংলাদেশকে নীরব দর্শক হয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন দেশের অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, প্রতিবেশী ভারত এবং চীন দুই দেশই বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শুধু তারাই অবদান রাখছে এমনটি নয়, বাংলাদেশও এই দুই দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশে রফতানি করে ও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে চীন ও ভারত উভয়ই লাভবান হচ্ছে। তবে পর্যবেক্ষক মহলের প্রশ্ন, বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কে কে বেশি এগিয়ে চীন না ভারত?

কিংবা এই দুটি দেশের মধ্যে আবদানই বা কার বেশি?বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুরের মতে, রফতানির ক্ষেত্রে ভারত ও চীন আমাদের কাছে প্রায় সমান গুরুত্ব বহন করে। অর্থাৎ দুটি দেশই এক বিলিয়ন ডলারের কম পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। আর  আমদানির ক্ষেত্রে চীনের ওপরে আমাদের নির্ভরশীলতা বেশি হলেও প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য আমরা খুব সহজেই আমদানি করতে পারছি। তিনি মনে করেন, ভারত খাদ্য পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে খুবই ভালো প্রতিবেশী। তবে অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিশেষ করে শিল্পায়নের জন্য বাংলাদেশকে চীনের ওপরই বেশি নির্ভরশীল হতে হয়। এছাড়া সরাসরি বিনিয়োগের (এফডিআই) ক্ষেত্রেও ভারতের চেয়ে চীন এগিয়ে আছে বলে তিনি মনে করেন।আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এখনও পর্যন্ত চীনের অবদান বেশি। তবে ভারত ও চীনের মধ্যে যুদ্ধ লেগে গেলে দুই দেশই বাংলাদেশকে কাছে পাওয়ার চেষ্টা করবে। সে জন্য দুদেশ থেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব ও চাপ আসতে পারে।

কিন্তু বাংলাদেশের কোনও পক্ষেই যাওয়া উচিত হবে না। বরং এক্ষেত্রে নীরব দর্শক হয়ে থাকাই মঙ্গলজনক হবে।’চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য কেমন, তা জানা যায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যেও।পণ্য আমদানি:পরিসংখ্যান বলছে, ভারত থেকে ২০১৯ সালে ৭ হাজার ৬৪৭ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এই একই বছরে চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৩৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। অর্থাৎ ভারতের চেয়ে চীন থেকে প্রায় দ্বিগুণ পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ।পণ্য রফতানিপরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ২০১৯ সালে ভারতে পণ্য রফতানি হয়েছে ৯৩০ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারের। আর চীনে পণ্য রফতানি হয়েছে ৭৪৭ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারের।দুই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিপরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us