বাড়িঘর লুট হয়ে গেছে। আর তিনি বুকে-পিঠে গুলির ক্ষত নিয়ে ২০ বছর ফেরারি আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। ১৯৭৫–এর পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি তাঁকে এভাবেই দুর্ভোগে ফেলেছে। ২০১১ সালে এসে তিনি জানতে পারেন একাত্তরের বীরত্ব প্রদর্শনের সম্মান হিসেবে তাঁকে বীর বিক্রম খেতাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে একটি ক্রমিক নম্বর ওলটপালট হয়েছিল। সেটি ঠিক করতেই গেল আরও ৯ বছর। যুদ্ধের ৫০ বছর পরে তাঁর নাম বীর বিক্রম হিসেবে এবার গেজেটভুক্ত হয়েছে।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম আবদুল খালেক। তাঁর বাবার নাম মৃত কামির উদ্দীন মন্ডল। বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চাপাল গ্রামে। তাঁর বয়স এখন ৮৩ বছর। ৬ জুন নতুন প্রকাশিত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটে তাঁর নাম উঠেছে।
আবদুল খালেক ১৯৬৩ সালের ১ জুন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৬৯ সালে তাঁর মা-বাবার বিশেষ অনুরোধে চাকরি ছেড়ে দেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ৭ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ চলাকালে ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর বুকে গুলি লাগে। এরপরও তিনি বেঁচে যান।