পশ্চিম তীরের ৩০ শতাংশ গ্রাসের দুঃস্বপ্ন নিয়ে বিপাকে নেতানিয়াহু!
প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২০, ১৬:৪১
পশ্চিম তীরের ৩০ শতাংশ অঞ্চলকে ইসরায়েলের ভূখণ্ড হিসেবে যুক্ত করার ইসরায়েলি অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া চাপ ক্রমেই বাড়ছে। গত এপ্রিল মাসে ইসরায়েলের লিকুদ দলের প্রধান নেতানিয়াহু ও নীল-সাদা বা ব্লু-হোয়াইট দলের প্রধান বেনি গান্তজ্ জোট-সরকার গঠনের সময় পশ্চিম তীরের ৩০ শতাংশ অঞ্চলকে ইসরায়েলের অংশে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের এক সপ্তাহ বাকি রয়েছে।
এরইমধ্যে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি মন্ত্রীসভার ওপর চাপ বেড়েছে। নেতানিয়াহু এপ্রিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পয়লা জুলাইয়ের মধ্যেই পশ্চিম তীরকে গ্রাস করার কাজ সম্পন্ন করতে চায়। কিন্তু বেনি গান্তজ্ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন স্থগিত করার দাবি জানিয়ে বলেছে, তার এ দাবি মানা না হলে সংসদের নতুন নির্বাচন ডাকা হবে। ফিলিস্তিনের সব দল ও গোষ্ঠী পশ্চিম তীরের ভূমি গ্রাসের ইসরায়েলি এই অপচেষ্টা কখনও বাস্তবায়ন হতে দিবে না বলে দৃঢ় অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে। ফিলিস্তিনি জনগণও ইসরায়েলি এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণ-বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ইসরায়েলি ঔদ্ধত্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ইসরায়েলের আগ্রাসী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় জোট, রাশিয়া ও চীন ইসরাইলের এই হঠকারিতার নিন্দা জানাচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ পশ্চিম তীরের ত্রিশ শতাংশ ভূমি গ্রাসের ইসরায়েলি পরিকল্পনার প্রেক্ষাপটে আজ ইসরায়েল বিরোধী এক প্রস্তাব পাস করেছে। এই প্রস্তাবে পশ্চিম তীরের বর্তমান ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত অংশে ইসরায়েলিদের চাকরি ও কাজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলা হয়েছে।
বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনে এ ধরনের ইসরায়েলি তৎপরতা অবৈধ ও জরিমানার যোগ্য। এ ছাড়াও জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ ফিলিস্তিনিদের নিজ ভাগ্য নির্ধারণের অধিকারের প্রতি স্বীকৃতি দিয়ে আরেকটি প্রস্তাব পাস করেছে।
ইসরায়েলের এই আগ্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে যখন খোদ ইসরায়েলেই বিরোধিতা জোরদার হচ্ছে তখনও মার্কিন সরকার এ বিষয়ে তেলআবিবকে সবুজ সংকেত দেয়ার চেষ্টা করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষিত শতাব্দির লেনদেন নামক পরিকল্পনায় সিরিয়ার গোলানসহ ইসরায়েলের দখলে থাকা সব আরব-ভূখণ্ডকে ইসরায়েলের অংশে পরিণত করার কথা বলা হয়েছে।