বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে পূর্বচিলা গ্রামের আক্কাচ খানের বাড়ির পেছন দিয়ে বয়ে গেছে হাইচাবুনিয়া খাল। এই খাল পারাপারের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধার্থে সরকারিভাবে একটি সেতু নির্মাণ করা হলেও নেই কোনো সংযোগ সড়ক।
সংযোগ সড়কের অভাবে বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিন দুই গ্রামের বাসিন্দা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে কাঁদা পানিতে ভিজে এ সেতু পার হওয়ায় চরম দুভোর্গে পোহাতে হচ্ছে। ভূক্তভোগী গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেতুটি নির্মাণের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ঠিকাদার সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কে মাটির কাজ না করায় বর্তমানে সেতুটি দিয়ে চলাচল করতে এলাকাবাসীর অসুবিধা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাগবে জনস্বার্থে দ্রুত সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটির কাজ করা প্রয়োজন। জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলা ত্রাণ শাখার বাস্তবায়নে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের আক্কাচ আলী খানের বাড়ির পেছনের হাইচাবুনিয়া খালের ওপর ২৪ লাখ ৪৫ হাজার ৯৮৫ টাকা ব্যয়ে ৩২ ফুট দৈর্ঘ্যর একটি আরসিসি ঢালাইয়ের পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়।
প্রায় ৫ বছর পার হলে চললেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটির কাজ না করায় সেতুটি খালের পানি মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। বর্ষা মৌসুমে খালে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই এলাকার দুটি গ্রামের লোকজন চরম ঝুঁকি নিয়ে পানিতে ভিজে সেতুটি পারাপার হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা পারাপার হতে গিয়ে কাদা পানিতে পড়ে বই-খাতা, জামা-কাপড় নষ্ট করে ফেলছে। পূর্ব চিলা গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী মো. জিয়াউর রহমানসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, সেতুটি নির্মাণ করে ঠিকাদার দুই পাশের সংযোগ সড়কে মাটি না দেওয়ার কারণে এ সেতুটি পার হতে এখন অনেক সমস্যা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী ও নারীরা।