একটা সময় দেশে ও দেশের বাইরে মঞ্চে তাঁর ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো। টেলিভিশন চ্যানেলেও প্রতিনিয়ত দেখা যেত তাঁর নিত্যনতুন গান। তিন বছরের বেশি সময় ধরে নেই দেশের মঞ্চে। নতুন গান প্রকাশেও আগের মতো সেই ব্যস্ততা নেই। পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় গানে আগের মতো সময় দিতে পারেন না তিনি। জনপ্রিয় এই পপ গায়িকার নাম তিশমা।
ঢাকায় মা–বাবার সঙ্গে থাকছেন তিশমা। করোনার এই সময়ে ঘরবন্দী কাটলেও মাঝেমধ্যে বের হন। ঘোরাঘুরি করতে নয়। তাহলে কী? কথায় কথায় তিশমা জানালেন, 'আমরা সবাই এই সময়টায় অসহায় ও অসচ্ছ্বল মানুষের পাশে আছি। আমিও আমার মতো করে কিছু করছি। একই সঙ্গে ঢাকার রাস্তায় কুকুর–বিড়ালসহ আরও পশুপাখি খাবারের কষ্টে আছে। আমি তাদের খাবার দিতে রাস্তায় বের হই। মানুষের জন্য কিছু করার পাশাপাশি পশুদের যেন ভুলে না যাই, তাই।'
স্টেজ শো করছেন না, নতুন গানও মুক্তি দিচ্ছেন না। তাহলে শুধুই পড়াশোনায় নিয়ে ডুবে আছেন? তিশমা বললেন, 'হয়তো নতুন গান মুক্তি দিচ্ছি না। কিন্তু আমার মতো করে কাজ করছি। ঘরে বসে থাকলেও কাজ থেমে নেই। সামনে বেশ কিছু গান প্রকাশিত হবে। শ্রোতারা চোখ–কান খোলা রাখলে দেখতে পাবেন।'
করোনার এই সময়টায়ও ঘরে বসে বেশ কয়েকটি গান কাভার করেছেন তিশমা। মাইকেল জ্যাকসনের গাওয়া এই গানগুলো শিগগিরই সিরিজ আকারে প্রকাশ করবেন বলে জানালেন। ঢাকার দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে লেখা পড়া করেছেন। একটিতে স্নাতক করেছেন, অন্যটি চলছে। দুটি বিষয়ের ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রেজেন্টেশনের চাপে গানে অনিয়মিত হতে বাধ্য হন। তিশমা জানালেন, সত্যিই বড় রকমের গ্যাপ হয়ে গেছে।