ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নয়, একজন সন্ত্রাসী- বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সামরিক উপদেষ্টা। একইসঙ্গে পারস্য উপসাগরে কোন রকম উসকানি দিলে, ওয়াশিংটনকে কঠোর জবাবের অপেক্ষায় থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। এদিকে ইরান সঙ্কট সমাধানে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির উপর জোর দিয়েছে জার্মানি। করোনা সঙ্কট সামলে নিয়ে আবারো সামরিক খাতে মনযোগ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম পরাশক্তি ইরানের। সম্প্রতি পারস্য উপসাগরের প্রবেশ মুখে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালিয়েছে দেশটি। ভারত মহাসাগরের উত্তরাংশে চালানো এ মহড়ায় সফলভাবে পরীক্ষা করা হয় ২৮০ কিলোমিটার পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের। সেইসঙ্গে ভূমি এবং আকাশ থেকে সাগরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র।
আরও পড়ুন : সৌদির কিং সালমান বিমানঘাঁটি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা! ওই মহড়ার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার যুক্তরাষ্ট্রে কড়া সমালোচনা করলো ইরান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল হোসাইন দেহকান। আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হুমকি দিয়ে বলেন, হামলা চালালে উল্টো জবাবও দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। ইরানি সর্বোচ্চ নেতার সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল হোসাইন দেহকান জানান, ট্রাম্প একজন অপরাধী। তাকে প্রেসিডেন্ট বলার সুযোগ নেই।
তাই ইরান কোন অবস্থাতেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না। পারস্য উপসাগরে ওয়াশিংটন যদি ইরান বিরোধী কোন সমরিক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তার জবাব হবে অকল্পনীয়। আরও পড়ুন : দেয়াল দিয়ে করোনা ঠেকাতে চান ট্রাম্প এদিকে ২০১৫ সালে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তিই ইরানের পারমাণবিক সঙ্কট সমাধানের অন্যতম হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেছে জার্মানি।