সন্তানের চোখে বাবাই তার কাছের পৃথিবী

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২০, ১৯:৫৩

সন্তানের চোখে বাবাই হচ্ছে সবচেয়ে কাছের পৃথিবী। সেই শৈশবে বাবার আঙুল ধরে শুরু হয় পথচলা, কৈশোরের দুরন্তপনার সঙ্গী, যৌবনে সাহসের জোগানদার আর সংসারজীবনে একজন দায়িত্ববান পুরুষের ভূমিকা। একজন আদর্শবান বাবার চোখেই তাঁর সন্তান দেখতে শেখে পৃথিবীর আলো আর অন্ধকারের মতো মানুষের জীবনের সুখ–দুঃখের ক্ষণস্থায়ী বিচরণ, একজন আদর্শবান বাবার মস্তিষ্কেই তাঁর সন্তান অনুভব করতে শেখে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষেরই সম-অধিকারে বেঁচে থাকার প্রাপ্যতা আছে।

অনুরূপভাবে একজন আদর্শবান বাবার কারণেই সন্তান শুনতে শেখে তার চারপাশের সৎ এবং সত্য মানুষগুলোর তৃপ্তির হাসি অপর দিকে অসততা ও মিথ্যাপুষিত জীবনের আহাজারি। বাবার শরীর দিয়েই একটি সন্তান অনুভব করতে শেখে যে এই পৃথিবীটা বেঁচে থাকার তাগিদে কতটা শ্রম আর কতটা ঘাম ঝরাতে হয়।

একজন বাবা শুধু তাঁর নিজের স্বপ্নের বাহক নন, তাঁকে পরম মমতা ও যত্নের সঙ্গে লালন করতে হয় পরিবারের প্রতিটি স্বপ্নকে। সন্তানের কাছে বিশ্বাসের আরেক নাম হচ্ছে বাবা, যাঁর হাত ধরে পৃথিবীর সব দুর্গম পথেই পা রাখা যায় অতি আস্থার সঙ্গে। প্রতিটি সন্তানের কাছেই তার বাবাই হচ্ছে সবচেয়ে সাহসী মানুষ, যে কিনা তাদের প্রতিটি চাওয়াকেই ছিনিয়ে আনতে পারে। বাবা হচ্ছে সন্তানের কাছে আয়নার মতো, যেখানে প্রতিফলিত হয় তার আদর্শ, বিবেক ও ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। ছোটবেলা থেকেই একটি সন্তানের চোখে বাবা যে রঙিন স্বপ্নের পৃথিবী এঁকে দেন, তার বাস্তবায়নেই বাবাদের জীবনে শত চেষ্টা। বিসর্জনের ভেলায় ভাসিয়ে দিয়ে নিজের সব স্বাদ, আহ্লাদ শুধু সন্তানের স্বপ্ন চাওয়াকে আলিঙ্গন করেই যে তৃপ্তি সুখের হাসি, তা শুধু বাবাদের মুখেই মানায়।

জীবনসংগ্রামের এক অকুতোভয় সৈনিক তিনি, লাঞ্ছনা–বঞ্চনা কিংবা দুর্ব্যবহার জীবন-জীবিকা চক্করে ঘটে চলেছে হরহামেশাই, তবু সব ভুলে দিন শেষে মুচকি হেসে সন্তানদের বুকে জড়িয়ে ধরতে শুধু বাবারাই পারেন। আদর্শ আর শাসনের বুননে তৈরীকৃত যে চাদরে একজন বাবা তাঁর সন্তানকে জড়িয়ে রাখেন, তা একটি সন্তানের কাছে ক্ষণিকের ভালো না লাগার অনুভূতি হলেও জীবনের দীর্ঘ পথচলায় একসময় ঠিকই উপলব্ধি চলে আসে যে কতটুকু ভালোবাসার আবিরমিশ্রিত ছিল সেই অনুশাসন। বাবার সঙ্গে সন্তানের ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের গভীরতা অঙ্কনের প্রয়াসেই একটি বাস্তব জীবনের গল্প তুলে ধরলাম। গ্রামের একটি ছিমছাম ছোট ও সুখী পরিবার, সংসারে সদস্য বলতে মাত্র তিনজন, মা–বাবা আর একমাত্র ছেলেসন্তান।

বাবা একজন সরকারি ব্যাংকের ব্যাংকার ছিলেন, এই তো কিছুদিন আগেই অবসর নিয়েছেন। একমাত্র সন্তান হওয়ায় বাবা ও ছেলে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসায় ছিল না ভাগ। মাঝেমধ্যে মনে হতো প্রকৃতির আপন পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হওয়া এই বাবা ও ছেলের বন্ধুত্ব। তা দেখে অনেকের মধ্যে একধরনের হিংসাও কাজ করত। কারণ, ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব এই দুইয়ের প্রতি মানুষের লোভ অসীম। ছেলের শৈশব থেকে শুরু করে বাবা কখনোই তার নাম ধরে ডাকেননি, বাবাও ছেলেকে বাবা বলেই ডাকতেন, ছেলের প্রতি বাবার যে শাসন, সেখানেও ছিল না উচ্চস্বর কিংবা চোখ রাঙানো।

বাবার দেখানো পথের শেখানো ভাষায় ছেলে বড় হতে থাকে, ছেলে বড় হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তার চিন্তা–চাহিদাগুলো বড় হতে থাকে, অপর দিকে বাবার নিবেদিত সামর্থ্য ছেলেকে কখনোই অপূর্ণতার স্বাদ গ্রহণ করতে দেয়নি। ছেলেকে ঘিরেই বাবার স্বপ্নের পৃথিবী, কল্পনার পাতায় পাতায় এঁকে রেখেছে শতশত সুখের আলপনা। যেমন, ছেলে ভালো রেজাল্ট করবে, ভালো একটি চাকরি করবে, আরও হয়তো অনেক অব্যক্ত অনুভূতি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us