'যুক্তরাষ্ট্র- চীন স্নায়ুযুদ্ধ করোনার চেয়েও উদ্বেগের'

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২০, ১২:১৪

আমেরিকা ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান স্নায়ুযুদ্ধ বিশ্বের জন্য করোনাভাইরাসের চেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রভাবশালী অর্থনীতিবিদ জেফরি সাকস। বিবিসি অনলাইনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেফরি বলেন, করোনা মহামারির পরিণতিতে নেতৃত্বহীন এক বিশাল বাধায় পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব। দুই পরাশক্তির মধ্যে বিভাজন এটিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক দুই দেশের বৈরিতার জন্য মার্কিন প্রশাসনকেই দুষছেন। বিবিসির এশিয়া বিজনেস রিপোর্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মার্কিন শক্তি বিভাজনের জন্য, সহযোগিতার জন্য নয়।

জেফরি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে নতুন স্নায়ুযুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা চালাছে।যদি তারা এমনই করে, এভাবেই শক্তি ব্যবহার করে, তবে আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাব না।প্রকৃতপক্ষে আমরা আরও বড় বিতর্ক এবং বড় বিপদে পড়ব।

কেবল বাণিজ্য নয়, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ইস্যু নিয়ে উত্তপ্ত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক। চলতি সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জিনজিয়ান প্রদেশে মুসলমানদের দমনপীড়নের জন্য দায়ী চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অনুমোদনের আইন স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করার উপায় হিসাবে চীন ভাইরাসটির আন্তর্জাতিক বিস্তারে প্রভাব ফেলেছে।

ট্রাম্প প্রশাসন চীনা কোম্পানিগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে। বিশেষত, চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়েকে। ওয়াশিংটন অভিযোগ, মার্কিন নাগরিকদের ওপর বেইজিংয়ের গুপ্তচরবৃত্তিতে সাহায্য করেছে হুয়াওয়ে। চীন ও হুয়াওয়ে উভয়ই এ অভিযোগ অস্বীকার করে। তবে এই গুমর কিছুটা ফাঁস করে দিয়েছেন মার্কিন সাবেক জাতীয় সুরক্ষার উপদেষ্টা জন বোল্টন। তাঁর লেখা এক বইয়ে বলা হয়, চীন ও হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান সম্ভবত পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক কৌশলের অংশ।

জেফরি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ফাইভ-জি নিয়ে তার অবস্থান হারায়, যা নতুন ডিজিটাল অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অন্যদিকে হুয়াওয়ে বিশ্ববাজারে আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ছিল। আমার মতে, যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছে করেই বিশ্বব্যাপী সমালোচনা ছড়িয়েছিল যে হুয়াওয়ে হুমকিস্বরূপ। মিত্রদেশগুলোর সঙ্গেও তারা হুয়াওয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা চালায়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us