ইয়ান চ্যাপেল বেড়ে উঠেছিলেন অস্ট্রলিয়ার শেতাঙ্গ সংস্কৃতিতে। বর্ণবাদের ভয়াল ব্যাপারটি তাঁর চারপাশে ছিল না। কিন্তু ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসেবে তিনি এই বাজে ব্যাপারটির সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। বুঝেছেন, চামড়ার রঙ দেখে মানুষ বিচার করার ধারণাটি কতটা নিচ প্রকৃতির।
চ্যাপেল ভাইদের সবচেয়ে বড় জন রাজ্য দল নিউ সাউথ ওয়েলসে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন ক্যারিবীয় তারকা গ্যারি সোবার্সকে। চমৎকার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল তাদের মধ্যে। তিনি তখন ভাবতেন, কেবল চামড়ার রঙ সাদা নয় দেখেই কিভাবে মানুষ মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে পারে!সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সূত্র ধরে নিজের ক্যারিয়ারে বর্ণবাদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন চ্যাপেল।
ক্রিকইনফোর কলামে চ্যাপেল লিখেছেন, বর্ণবাদ কেমন হতে পারে, নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম বিদেশ সফরেই টের পেয়েছিলেন। ১৯৬৬-৬৭ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতেন আমেরিকান-ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার গ্রাহাম টমাস। কেপটাউনে টিম হোটেলে এক লোক নাকি টমাসকে বলেছিলেন, 'তোমরা গ্যারি সোবার্সকে দলে নিতে। তাহলেই তো তোমাদের দলটা পুরো কালোদের দল হয়ে যেত।' অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব পাওয়ার বর্ণবাদের ব্যাপারে বেশ কড়াকড়ি নিয়ম জারি করেন চ্যাপেল।
দায়িত্ব নিয়েও দলের সবাইকে বর্ণবাদী আচরণের ব্যাপারে সতর্ক করে দেন তিনি, 'তোমরা গালি দিতে “কালো” শব্দটা জুড়ে দাও কেন?' এরপর নাকি চ্যাপেল তাঁর দলের কোন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণ করতে দেখেননি। কিন্তু ছোট ভাই গ্রেগ চ্যাপেল অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কত্ব নেওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা ভিভ রিচার্ডস এক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ করেন। ইয়ান সঙ্গে সঙ্গেই নাকি গ্রেগের কাছে এই ব্যাপারে জানতে চান। কিন্তু গ্রেগ এমন কোন ঘটনা জানতেন না। ইয়ান নিজেই তখন ভিভের সঙ্গে এই ব্যাপারে আলাপ করেন। ভিভ ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ না করলেও বলেছেন, 'ওর সঙ্গে আমার সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।'