মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে অস্বাভাবিক দাম বাড়লেও ঈদের পর রাজধানীর বাজারগুলোতে বিভিন্ন মসলার দাম কিছুটা কমে। তবে খুচরা বাজারে এখন আবার জিরা ও এলাচের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
রোববার (২১ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। দাম বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনেও। খুচরা বাজারে জিরা ও এলাচের দাম বাড়লেও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সম্প্রতি পাইকারিতে দাম বাড়েনি। উল্টো দাম কমেছে।
বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে যারা যায়, জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩৮০-৪০০ টাকার মধ্যে। তবে করোনার প্রকোপ শুরু হলে জিরার কেজি ৬০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। গত এক সপ্তাহে দাম বাড়ার তালিকায় থাকা এলাচের কেজি খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩৬০০-৩৮০০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩২০০-৩৪০০ টাকার মধ্যে। আর করোনা প্রকোপের মধ্যে এলাচের কেজি ৪২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির হিসাবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর এলাচের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।
রামপুরার ব্যবসায়ী মিন্টু বলেন, ‘কোরবানির ঈদের আর দেড় মাসও বাকি নেই। এ কারণে হয়তো এখনই মসলার দাম বাড়তে শুরু করেছে। তাছাড়া ঈদের পর মসলার তেমন চাহিদা ছিল না, এখন চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। এ কারণে দাম কিছুটা বাড়তি।’ তিনি বলেন, প্রতিবছরই কোরবানির ঈদের সময় মসলার দাম বাড়ে। এবার প্রাথমিকভাবে জিরা ও এলাচের দাম বেড়েছে। আমাদের ধারণা, সামনে অন্য মসলার দামও বাড়বে। এবার হয়তো একটু আগেভাগেই মসলার দাম বেড়ে যাবে। যাতে ঈদের আগে মসলার দাম বেড়েছে এমন অভিযোগ তোলা না যায়। মালিবাগের