নিমের উপকারিতা সম্পর্কে সবারই জানা। চর্মরোগ ঠেকাতে নিম পাতা অত্যন্ত কার্যকরী। আয়ুর্বেদের শুরু থেকেই নিম পাতার পানিতে গোসল করার রীতি রয়েছে। ঋতু পরিবর্তনের সময় নিম পাতার পানিতে গোসল করলে তা শরীরে একটি ঢাল তৈরি করে যা আমাদের কমন ফ্লু কিংবা ঠান্ডা লাগা থেকে রক্ষা করে।
দেহের অনাক্রম্যতা বৃদ্ধিতেও অবদান আছে নিম পাতার। করোনার সময়েও অত্যন্ত অত্যাবশ্য়কীয় অনাক্রম্যতা। এছাড়া ত্বকের যত্নেও নিম পাতার স্বাস্থ্যগুণ অনেক। চলুন নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই- # নিম পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে আঘাতজনিত ক্ষত বা কীটপতঙ্গের কামড়ে সৃষ্ট ক্ষততে প্রতিদিন কয়েকবার করে লাগালে তা দ্রুত সেরে যায়। # পরিমাণ মতো পানি ও নিম পাতা নিয়ে সেদ্ধ করুন। যতক্ষণ না পানিটা নীল হচ্ছে। এরপর তা ঠাণ্ডা করে রাখুন।
গোসলের সময় চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধোয়ার পর এই পানি দিয়ে মাথা পরিষ্কার করুন। # কিছু নিম পাতা সেদ্ধ করার পর পানিটুকু ছেঁকে পুরোপুরি ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর সেই পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে নিন। এতে চোখের যেকোনো ধরনের প্রদাহ, ক্লান্তি বা লালচে ভাব দূর হবে।
কিছু নিম পাতা গুঁড়ো করে পেস্ট বানিয়ে ব্রণে লাগিয়ে দিন। যতদিন ব্রণ না শুকোচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এভাবে লাগিয়ে যান। মুখের যেকোনো ধরনের ফুসকুড়ি, ডার্ক স্পট এবং দীর্ঘমেয়াদি ঘা দূর করে নিম। # কিছুসংখ্যক নিমপাতা গুঁড়ো করে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। যেকোনো ধরনের কানফোঁড়া সারাতে এই মিশ্রণের কয়েকফোঁটাই যথেষ্ট।
নিমপাতা গুঁড়ো করে পেস্ট তৈরি করে তার সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে যেকোনো ধরনের খুজলি, একজিমা, রিঙ ওয়ার্ম এবং প্রদাহজনিত ত্বকের রোগ সারানো যায়। # কিছু নিমপাতা চুর্ণ করে এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বহুগুণ। # নিম পাতা সেদ্ধ পানি গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে নিন।