কিম ইয়ো জং: উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাবান নারী ?
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২০, ২১:৩৯
গত কয়েক বছরে উত্তর কোরিয়ার দুর্বোধ্য ক্ষমতা কাঠামোতে কিম ইয়ো-জং একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
কিম ইয়ো-জং হচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-আনের ছোট বোন। ভাই-বোনদের মধ্যে তাকেই কিম জং-আনের একমাত্র মিত্র বলে মনে করা হয়।
কিম ইয়ো-জং প্রথম আন্তর্জাতিক খ্যাতি আকর্ষণ করেন ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গিয়ে। সেবছর তিনি উত্তর কোরিয়ার শীতকালীন অলিম্পিক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া সেবার শীতকালীন অলিম্পক গেমসে একটি একক দল হিসেবে অংশ নিচ্ছিল। কিম ইয়ো-জং হচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন কিম পরিবারের প্রথম সদস্য, যিনি দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন।
২০১৮ সালে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কে বরফ গলতে শুরু করে। এরপর আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে তাকে তার ভাইয়ের পাশে থেকে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা যায়। সেবছর কিম জং-আন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ বৈঠকের সময় তখন ভাইয়ের পাশে দেখা গিয়েছিল কিম ইয়ো-জং কে।
ভাইয়ের সঙ্গে তার এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা কাঠামোতে তার এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তাকে ২০২০ সালের এপ্রিলে আবারো আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রে নিয়ে আসে। তখন কিম জং-আনকে হঠাৎ করেই কিছুদিন জনসমক্ষে দেখা যাচ্ছিল না। এটা ছিল খুবই অস্বাভাবিক। তার স্বাস্থ্য নিয়ে তখন নানা গুজব শোনা যাচ্ছিল।
উত্তর কোরিয়ার পরবর্তী নেতা হিসেবে তখন কিম ইয়ো -জং এর কথা বেশ আলোচিত হচ্ছিল।
মিস কিম প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদোন্নতি পেয়ে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য হন ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে। এর আগে তিনি ছিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রপাগান্ডা এন্ড এজিটেশন ডিপার্টমেন্ট, অর্থাৎ প্রচারণা এবং আন্দোলন দপ্তরের ভাইস ডিরেক্টর। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ।
কিম ইয়ো-জং এখনো এই দায়িত্বে আছেন এবং সেখানে তার কাজ মূলত উত্তর কোরিয়ায় তার ভাইয়ের ভাবমূর্তিকে তুলে ধরা।
উত্তর কোরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে সেই তালিকায় কিম ইয়ো-জং এর নামও আছে। এর মানে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কোন নাগরিক তার সঙ্গে কোনো ধরনের কাজকর্ম করতে পারবে না, এটা নিষিদ্ধ। যদি কেউ এই নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে তার সম্পদ এবং বাড়িঘর জব্দ করা হবে।