ঢাকা: একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ আছে ‘বাপ কা ব্যাটা’ মানে ‘যেমন বাপ তেমন পোলা’। প্রবাদটির বাস্তবিক প্রয়োগে খাপে খাপে মিলে যায় স্বঘোষিত ধনকুবের বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের এবং তার ছেলে ববি হাজ্জাজের বেলায়। মিথ্যাচার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের তুলনায় জুড়ি মেলা ভার এই দুজনের।
প্রথমেই আসা যাক বাবা মুসা বিন শমসেরের প্রসঙ্গে। আদম ব্যবসা ও অস্ত্র বিক্রির দালালির টাকায় বেশ ফুলে ফেঁপে ওঠা মুসা নিজেকে রীতিমত ‘ধনকুবের’ হিসেবে পরিচয় দেন। নিজেকে স্বঘোষিত ‘বিলিয়নিয়ার’ও মনে করেন তিনি। অথচ নিজের সম্পদের সঠিক কোনো বিবরণ দিতে পারেন না মুসা। ‘হিসাব নেই’ উল্লেখ করে নিজের ‘অগাধ সম্পত্তি’ আছে এমনটাই মানুষকে বিশ্বাস করাতে কৌশল ব্যবহার করেন তিনি।
মুসা বিন শমসের আন্তর্জাতিকভাবে প্রথম আলোচনায় আসেন ১৯৯৭ সালে। সে বছর যুক্তরাজ্যের সংসদ নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী টনি ব্লেয়ারের পক্ষে ৫০ লাখ পাউন্ড খরচের প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী, এভাবে অর্থ নিয়ে নির্বাচনে ব্যয় করতে পারেন না কোনো প্রার্থী। বিভিন্ন সময় মুসার সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন একাধিক সূত্র জানায়, এই আইনটি জেনেই অর্থ খরচের প্রস্তাব করেছিলেন মুসা। উদ্দেশ্য ছিল টাকা খরচ না করেই রাতারাতি আলোচনায় আসা।
আলোচনায় থাকার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিজেকে নিয়ে চটকদার সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন মুসা ওরফে ‘রাজাকার নুলা মুসা’। এমনই একটি প্রকাশিত সংবাদ কাল হয়ে দাঁড়ায় মুসা ও তার পরিবারের জন্য।
২০১৪ সালে ‘বিজনেস এশিয়া’ নামক একটি সাময়িকীতে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে মুসার সম্পদের খোঁজে তদন্তে নামে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক কার্যালয়ে ডাকা হয় তাকে। সেখানেও নারী দেহরক্ষী বেষ্টনীর মধ্যে গিয়ে আবারো আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন মুসা।