নিজের বইয়ে ট্রাম্প চাচাকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর মানুষ বললেন মেরি

ডেইলি বাংলাদেশ প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২০, ১১:০৪

নির্বাচনের আগে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটাই বোধহয় এলো নিজের পরিবার থেকেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ভাইয়ের মেয়ে মেরি লিয়া ট্রাম্প চাচা ট্রাম্পের পারিবারিক জীবন, ব্যবসায়ে শঠতা নিয়ে একটি ‘স্মৃতিকথা’ লিখেছেন। বিবিসি’র একটি প্রতিবেদন থেকে এমনটিই জানা গেছে।

বইটি এমন সময়ে প্রকাশিত হচ্ছে, যার ঠিক কয়েক সপ্তাহ পরেই রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে তার চাচা ডোনাল্ড ট্রাম্প নভেম্বরের নির্বাচনের জন্য দ্বিতীয় দফায় দলীয় মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত যতখানি জানা যাচ্ছে তাতে এমন অনেক তথ্য আছে যা প্রেসিডেন্টকে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের আগে বেশ অস্বস্তিতে ফেলবে।

ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্পত্তির বিষয়ে একটি বিস্তারিত গোপন নথি মেরি কীভাবে নিউইয়র্ক টাইমসকে সরবরাহ করেছিলেন- সেটিও থাকছে স্মৃতিকথামূলক বইটিতে। যার ভিত্তিতে পরে ট্রাম্পের সম্পত্তি নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু হয়। পুলিৎজার পুরস্কার জেতা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কর জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং তার বাবার রিয়েল স্টেট ব্যবসা থেকে ৪০ কোটি ডলারেরও বেশি সম্পত্তি পেয়েছিলেন।

বই বেচাকেনার বৃহত্তম ডিজিটাল প্লাটফর্ম অ্যামাজনে এরই মধ্যে বইটির একটি চুম্বক অংশ তুলে ধরা হয়েছে। বইটির সংক্ষিপ্ত প্রচারে অ্যামাজন বলেছে, কীভাবে তার চাচা এমন মানুষ হয়ে উঠলেন, যিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক সুরক্ষা এবং সামাজিক কাঠামোকে হুমকির মুখে ফেলেছেন- তা তুলে ধরেছেন লেখক। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, কীভাবে নির্দিষ্ট ঘটনা এবং সাধারণ পারিবারিক ধরন বা অভ্যন্তরীণ চর্চাগুলো এমন একজন ক্ষতিকর ব্যক্তিকে নির্মাণ করেছে, যিনি এখন ওভাল অফিস দখল করে বসে আছেন।

লেখক বলেছেন, বাবা ফ্রেড ট্রাম্প যখন অ্যালঝেইমারে (স্মৃতিভ্রংশ) ভুগছিলেন তখন আজকের এই দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিটি (প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প) তার বাবার সঙ্গে কেমন আপত্তিকর আচরণ করেছেন। স্মৃতিভ্রষ্টতার সমস্যার কারণে তিনি বাবাকে তাচ্ছিল্য, অবহেলা ও ঠাট্টা করতেন। ১৯৮১ সালে ফ্রেড মাত্র ৪২ বছর বয়সে মারা যান। তিনি তার জীবনের বেশির ভাগ সময় মাদকাসক্তের সঙ্গে লড়াই করে কাটিয়েছেন এবং অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই হার্ট অ্যাটাকে তার অকাল মৃত্যু হয়। চাচা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে মেরি ট্রাম্প অনেকটাই নিজেকে লাইমলাইট থেকে সরিয়ে নেন। ২০ বছর আগে একটি মামলার সূত্র ধরে এ দুই পরিবারের মাঝে সম্পর্কের তিক্ততা বাড়তে শুরু করে। মেরি ও তার ভাই তৃতীয় ফ্রেড ট্রাম্প একটি মামলা দায়ের করে অভিযোগ করেছিলেন- দাদার সম্পত্তি থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us