বিশ্বের ৮ কোটি মানুষ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত: ইউএনএইচসিআর

বার্তা২৪ প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২০, ১৫:২৩

বর্তমান বিশ্বের প্রায় ৮ কোটি মানুষ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। এদের সংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশ যাদের ৯৭ জনের মধ্যে ১ জন মানুষ তার নিজ বাসস্থান থেকে বিতাড়িত। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বেচ্ছায় নিজ ঘরে ফেরার সুযোগও দিন দিন কমে আসছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) জেনেভাস্থ জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।ইউএনএইচসিআর-এর বার্ষিক গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯ এর শেষে সারা পৃথিবীতে ৭ কোটি ৯৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত অবস্থায় ছিলেন। ইতিহাসে এর আগে এতো মানুষ কখনও গৃহহারা হয়নি।

৯০-এর দশকে, প্রতি বছর গড়ে ১৫ লাখ মানুষ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে নিজ দেশে ফিরতে পারতেন। গত দশকে এই সংখ্যা কমে ৩ লাখ ৯০ হাজারে পৌঁছেছে, এতে বোঝা যায় বাস্তুচ্যুতির পরিমাণ এখন টেকসই সমাধানকে কত দূরে নিয়ে গেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, পরিবর্তিত বাস্তবতায় আজ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুতির পরিমাণই যে শুধু বেড়েছে তা নয়; বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমস্যাগুলো দীর্ঘমেয়াদি। নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের কিংবা নতুন কোথাও ভবিষ্যত গড়ে তোলার কোনো আশা ছাড়া এই মানুষগুলো বছরের পর বছর কাটিয়ে দিচ্ছে অনিশ্চয়তায়, এটা মেনে নেওয়া যায় না। শরণার্থীদের জন্য প্রয়োজন একেবারে নতুন ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি; এর সাথে সাথে তাদের দুর্ভোগের মূলে থাকা বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা সংঘাতগুলোর সমাধানে চাই দৃঢ় প্রত্যয়।

ইউএনএইচসিআর-এর গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ৭ কোটি ৯৫ লাখ মানুষের মধ্যে ৪ কোটি ৫৭ লাখ বাস্তুচ্যুত হয়েছে নিজ দেশের ভেতরে। বাকিরা বাধ্য হয়েছে দেশ ছাড়তে, যার মধ্যে ২ কোটি ৯৬ লাখ শরণার্থী, আর ৪২ লাখ মানুষ অন্য কোনো দেশে আশ্রয়ের আবেদন করে ফলাফলের অপেক্ষা করছে।

২০১৮’র শেষে এই সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৮ লাখ, যা এক বছরে বেড়েছে মূলত দুটি কারণে। প্রথমটি হলো নতুন বাস্তুচ্যুতির বিভিন্ন ঘটনাঃ বিশেষত গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল, ইয়েমেন ও সিরিয়ার সংঘাত। সংঘাতপূর্ণ নয় বছর পর আজ ১ কোটি ৩২ লাখ সিরিয়ান শরণার্থী, কিংবা আশ্রয়প্রার্থী, অথবা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত। এই সংখ্যা বৈশ্বিক বাস্তুচ্যুতির ছয় ভাগের এক ভাগ।

দ্বিতীয় কারণ হিসেবে আছে নিজ দেশের বাইরে অবস্থানরত ভেনেজুয়েলার মানুষের পরিস্থিতি সম্পর্কে গত এক বছরে পাওয়া বিশদ তথ্য। তাদের অনেকেই আইনত শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধিত নন, কিন্তু সুরক্ষা ও সহায়তা তাদেরও প্রয়োজন ।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us