করোনা মোকাবেলায় উপকারী জিঙ্ক, পাওয়া যাবে যেসব খাবারে
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২০, ১২:০৪
করোনা মোকোবেলায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে ভিটামিন সি, ডিয়ের মতো জিঙ্কও বেশ কার্যকরী।‘আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’-এর গাইডলাইন অনুযায়ী ১৪ বছরের বেশি বয়সী ছেলে ও গর্ভবতী নারীদের দিনে ১১ মিগ্রা জিঙ্ক, মেয়েদের ৮ মিগ্রা ও বুকের দুধ পান করানো মায়েদের ১২ মিগ্রা জিঙ্ক প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিঙ্কের অভাবে শরীরের প্রায় ২০০টি এনজাইম বা উৎসেচকের কাজ বাঁধাগ্রস্ত হলে শরীর জুড়ে দেখা দেয় প্রতিক্রিয়া। জিঙ্কের অভাবে কোষের কার্যকারিতা কমে, প্রোটিন তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটে। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। অতএব অন্য আরও পুষ্টির পাশাপাশি নজর দিতে হবে জিঙ্কের দিকেও।
যেসব খাবারে জিঙ্ক পাওয়া যাবে-১. প্রতি ৮৫ গ্রাম মুরগীর মাংসে ২ দশমিক ৪ মিগ্রা জিঙ্ক থাকে। এ কারণে জিঙ্কের ঘাটতি পূরণে নিয়মিত মুরগীর মাংস খেতে পারেন। এতে অন্য উপকারের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। ২. চিংড়িতেও প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। জিঙ্কের ঘাটতি পূরণে পরিমাণ মতো জিঙ্ক খেতে পারেন। ৩. সব রকম ডাল, ছোলা, বিন, মটরশুঁটি জিঙ্কের ভালো উৎস। ৫০ গ্রাম মসুর ডাল খেলে ২ দশমিক ৪ মিগ্রা জিঙ্ক পাওয়া যায়। এছাড়া ৮০ গ্রাম ছোলায় ১দশমিক ২৫ মিগ্রা জিঙ্ক থাকে।৪. আধবাটি ওটস থেকে ১ দশমিক ৩ মিগ্রা জিঙ্ক পাওয়া যাবে। এর সঙ্গে ২৫০ গ্রাম লো-ফ্যাট টক দই খেলে ২ দশমিক ৩৮ মিগ্রা আর লো-ফ্যাট দুধ খেলে ১ দশমিক ২ মিগ্রা জিঙ্ক পাওয়া যাবে।
৫. ব্রাউন রাইস, হোল হুইট ব্রেড বা ঘরোয়া আটার রুটিও জিঙ্কের বড় উৎস।৬. জিঙ্কের ঘাটতি পূরণে বাদাম ও বীজ খেতে পারেন। ২৮ গ্রাম কাজু আর কুমড়ার বীজে যথাক্রমে ১ দশমিক ৬ মিগ্রা ও ২ দশমিক ২ মিগ্রা জিঙ্ক আছে। আমন্ড ও অন্যান্য বাদাম ও বীজেও প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে।৭. মাঝেমধ্যে মাশরুম খেতে পারেন। লো-ক্যালোরির এই সবজিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্কও আছে । প্রতি ২১০ গ্রামে ১ দশমিক ২ মিগ্রা জিঙ্ক থাকে। এছাড়া এতে ভিটামিন এ-সি-ই ও প্রচুর আয়রন পাওয়া যায়।