ডিসেম্বরেও পয়েন্ট টেবিলের সাত নম্বরে ছিল বায়ার্ন মিউনিখ। এরপর মাঝপথে কোচ বদল। নতুন কোচের অধীনে এক ঝটকায় আমূল পরিবর্তন। ফেব্রুয়ারি গড়াতে নিজেদের পছন্দের শীর্ষস্থানে বায়ার্ন। এরপর তো পৃথিবীই বদলে গেল। বুন্দেসলিগা ফেরার পর অবশ্য বায়ার্ন আর বদলালো না। একের পর এক ম্যাচ জিতে শিরোপা জয়টা সময়ের ব্যাপার বানিয়ে ফেলেছিল বাভারিয়ানরা। বাকি কাজটা তারা সারল ভের্ডার ব্রেমেনের মাঠে, লিগের ৩ ম্যাচ বাকি থাকতে টানা অষ্টমবারের মতো বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতে নিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।
ব্রেমেনের মাঠে জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত হত। সেই ম্যাচে বায়ার্নের জয় নিশ্চিত হলো রবার্ট লিওয়ানডোস্কির একমাত্র গোলে। জেরোম বোয়াটেংয়ের উড়িয়ে মারা বল বক্সের ভেতর বুক দিয়ে নামিয়ে ডান পায়ের স্লাইডিং ভলিতে দেখার মতো আরও একটি গোল করেন লেভানডফস্কি। বায়ার্নের শিরোপা জয়ের আনন্দ অবশ্য আলফোন্সো ডেভিসের জন্য ঠিক মনমতো হয়নি। ৭৯ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বায়ার্নের তরুণ লেফটব্যাককে।
৩০ তম লিগ শিরোপা জয়ের পর নতুন একটি রেকর্ডও হয়ে গেছে বায়ার্নের। জার্মানিতে একটানা লিগ জয়ের নতুন রেকর্ড এখন তাদেরই। ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগেও একটানা লিগ জয়ের সর্বোচ্চ রেকর্ডে জুভেন্টাসের সঙ্গে ভাগ বসিয়েছে বায়ার্ন। বায়ার্ন কোচ হান্সি ফ্লিকের জন্য এই শিরোপার আবেদন আরও বেশি। ২০১৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত জার্মানির কোচ জোয়াকিম লোয়ের সহকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এই মৌসুমের শুরুতেও তিনি ছিলেন বায়ার্নের সহকারি কোচ।
নিকো কোভাচ বরখাস্ত হওয়ার পর হুট করে পেয়ে যাওয়া দায়িত্বটা ফ্লিক পুরোপুরিই লুফে নিয়েছেন। তার অধীনে বায়ার্ন লিগে হারের মুখ দেখেছে মাত্র একবার। তাও সেই গত বছর ডিসেম্বরে। এরপর ১৭ ম্যাচ খেলে বায়ার্ন পয়েন্ট হারিয়েছে মাত্র কেবল লাইজিগের সঙ্গে। বায়ার্ন যখন উড়ছে তখন অবশ্য ব্রেমেনের অবস্থা পুরো বিপরীত। কয়েক বছর আগেও নিয়মিত চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নিত ব্রেমেন। লিগের শেষ প্রান্তে এসেও এবার তারাই এখন রেলিগেশন শঙ্কায়।